ঢাকা সাভারের আশুলিয়ায় আলহাজ্ব মাদবর (৩০) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা।
পরে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় ওই ছাত্রদল নেতার ভাগনে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় আহতের বাড়িতে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৭টার দিকে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার আলহাজ্ব মাদবর আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার মৃত ইউনুস মাদবরের ছেলে এবং তিনি ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। বর্তমানে আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী।
আহতের স্বজনরা জানান, তার ভাই ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সদস্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ২ নং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আইন ফোরামের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এবং আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী। ঘোষবাগ এলাকার কাজিমুদ্দিন ভুইয়ার ছেলে বাবুও একই পদ চাচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে আলহাজের জনপ্রিয়তা বেশি থাকায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বাবুর নেতৃত্বে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা আতিকুর রহমান আলিফ,মিলন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/৯ জন আলহাজ্বের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে এবং হত্যা করার জন্য রামদা-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ক্রা হয়।
এ ঘটনায় তার ভাগনে শামীম আশুলিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত ছাত্রদল নেতা আলহাজ্ব মাদবরের মা মার্জিয়া বেগম জানান, আমার ছেলে বিএনপির রাজনীতি করার কারণে দীর্ঘদিন জেল খেটেছে। আওয়ামী লীগের সময়ে কয়েকটা মামলা হয়েছে তার নামে। আমার বুকে একদিন ঘুমাতে পারেনি। পালিয়ে থাকতে হয়েছে। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করতে এরকম হামলা করছে। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক এর মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর