দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর চলতি বছরেও তিন মিলিয়ন (৩০ লাখ) ক্লাবে অবস্থান করে নিয়েছে। ৩০ লাখের বেশি কন্টেইনার পরিবহণ করায় পঞ্চমবারের মতো সেখানে জায়গা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুইভেলেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসভিত্তিক গড়ে ২ লাখ ৭০ হাজার টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডেল করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৭ টিইইউ।
মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬২, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৬, মার্চে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৪, এপ্রিলে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৯, মে মাসে ৩ লাখ ১৯৩, জুনে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭৩, জুলাইয়ে ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫, আগস্টে ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৬৯, সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪, অক্টোবরে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯ এবং নভেম্বরে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩১৮ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এছাড়া ডিসেম্বরের ১৫ দিনে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে ৫১ হাজার ৪৬৩ টিইইউ।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, কন্টেইনার পরিবহনকে মানদণ্ড বিবেচনা করে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে থাকা ১০টি সমুদ্রবন্দরের মধ্যে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের পোর্ট অব সিঙ্গাপুর, সপ্তমে দক্ষিণ কোরিয়ার পোর্ট অব বুসান, নবমে আরব আমিরাতের দুবাইয়ের জেবেদ আলী পোর্ট ছাড়া বাকী সাত বন্দরই চীনের। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের মুন্দ্রা পোর্ট ২৪ তম এবং জহরলাল নেহেরু ২৮ তম অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ তম অবস্থানে শ্রীলঙ্কার কলোম্বো পোর্ট এগিয়ে রয়েছে ৬৭ নম্বরে থাকা ১৩৭ বছরের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে কারণ দেশে ট্রেড হয়েছে। ট্রেড হলে অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানি বাড়লে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং স্বাভাবিকভাবে বাড়বে। দেশের অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে সেই দেশের বন্দরের পারফরম্যান্স কী। বন্দরের কাজ হচ্ছে ফ্যাসিলিটি দেওয়া। ফ্যাসিলিটি অনেকদিকে বাড়ানো হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর