বাংলাদেশের পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এত বড় একটা বিপ্লব হলো, কত মানুষ আত্মহুতি দিলো। তারপরও কিছু মানুষের স্বভাব পরিবর্তন হলো না। একটা দুটো ডেডবডি পড়লে একটা সমাজ বদলে যায়। সমাজ একটা ধাক্কা খায়, হাজারের ওপরে আমাদের তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আমরা বোধহয় সংখ্যাটা ভুলেই গেছি। সমাজ পরিবর্তন ও বৈষম্যকে পিষে ফেলার জন্য এই আন্দোলন হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বৈষম্য মুক্ত, শান্তি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ইমাম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আর বলেন, অমুক আজকে চেয়ারে বসে আছে, উনি চলে যাওয়ার পরে আমি বসব। আগে উনি চেয়ারে বসে অন্যায় করে সুবিধা নিত, এখন আমি সুবিধা নেব। সেটার জন্য এই আন্দোলন হয়নি। অনেকে মনে হয় ভুল ম্যাসেজ নিচ্ছেন, যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়াচ্ছেন, তারা সাবধান হয়ে যান, তওবা করেন। যারা মনে করছেন দিন বদল হয়ে গেছে, এখন পকেট ভারী করব। জঘন্য চিন্তা, এখনও এসব ভুলে যান বলে।
‘এত মূল্য দেওয়ার পরেও যদি আমরা সমাজকে পরিবর্তন করতে না পারি। সকল বৈষম্যকে পায়ের নিচে পদদলিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা পেয়ে বসবে। এজন্য সবাইকে অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে খোলা ময়দানে কথা বলতে হবে।’
বাগেরহাট কামিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত ইমাম সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গভর্নর ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বাগেরহাট জেলা জামাতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, মাধবকাঠি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাগেরহাটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, জামাত নেতা মনজুরুল হক রাহাত, বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রুহুল আমিন খান। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার ইমামগণ অংশগ্রহণ করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর