বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে দেশে নতুন করে সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে আরও দুটি তৈরি পোশাক কারখানা। এর ফলে, দেশের পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২টিতে। এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)।

নতুন সবুজ কারখানার সনদপ্রাপ্ত নতুন দুটি প্রতিষ্ঠান হলো আমির শার্টস লিমিটেড এবং কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেড। আমির শার্টস ৬৬ পয়েন্ট এবং কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ৭০ পয়েন্ট পেয়ে গোল্ড রেটিং অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে।

দেশের পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২৩২টি কারখানা এখন পর্যন্ত লিড সনদ অর্জন করেছে। এর মধ্যে ৯২টি লিড প্লাটিনাম, ১২৬টি লিড গোল্ড, ১০টি লিড সিলভার এবং ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) পরিবেশবান্ধব স্থাপনার জন্য ‘লিড’ সনদ প্রদান করে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো "লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন।" এ সনদ অর্জনের জন্য একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হয়।

বিশ্বের ১০০টি পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৬টি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত। দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সূচনা হয় ২০১২ সালে, পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার উদ্যোগে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

হারুন/সা.এ.