
সমাজে যেই বিভাজন শেখ হাসিনা করে গিয়েছে, সেই বিভাজন জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দূর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, সমাজে যেই বিভাজন শেখ হাসিনা করে গিয়েছে, সেই বিভাজন জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দূর হয়েছে। দেশের বাহিরের কোনো শক্তিকে আর এই বিভাজন করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য যারা লড়াই করবে, আমরা সবাই এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকব।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাতের জানাজা শুরুর আগে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, এই আন্দোলনে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। বিগত সরকারের মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর ক্ষোভ ছিল। সেই সময় তারা বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে ২০১৩ সালে তাদের ওপর পুলিশি নিপীড়ন হয়েছে। তবুও তারা রাস্তায় নেমে লড়াই করেছে, আমরা তাদের স্যালুট জানাই। ১২ বছর বয়সী শহীদ আরাফত দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে রাস্তায় নেমেছিল। আমরা যারা জীবিত আছি তাদের সৌভাগ্য হয়নি শহীদ হওয়ার।
এ আন্দোলনে স্কুলকলেজের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ও একটি ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল এবং তাদের রক্তত্যাগ ও আত্মত্যাগ রয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেখো যায়, বিগত সরকারের রোষানলে ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এবারের আন্দোলনে তারা কাঁধে-কাঁধ রেখে লড়াই করেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যেন আমাদের ভাইদের স্বপ্নকে যেন কোন ভাবেই ভুলে না যাই। আমরা কোন শহীদের পরিবারের বাবা মাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না , তবে এতটুকু বলতে পারি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আমরা যেন শহীদ পরিবারকে এতটুকু বলতে পারি, যারা খুন করেছে, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের বিচার হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরাফাতের বাবা শহীদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর