টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর সন্ত্রাসী সা’দপন্থীদের বর্বরোচিত হামলার বিচার ও বাংলাদেশে সা’দপন্থীদের আজীবন নিষিদ্ধের দাবিতে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করেছে হবিরবাড়ীর সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা।
এসময় সাদদপন্থিদের গ্রেপ্তার ও তাদের মারকাস বন্ধের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইত্তেফাকুল উলামা ভালুকার সভাপতি মাওলানা মুফতি আতিকুল ইসলাম, ইমাম ওলামার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজিদ, হবিরবাড়ী ওলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস আহাম্মেদ, সিডস্টোর বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি ইয়াহিয়া সুতারপুরি, আল খিদমা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মুফতি আল আমিন, হবিরবাড়ী ওলামা কল্যাণ পরিষদ ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা মুফতি সাজিদুর রহমানসহ আরো অনেক ওলামায়ে কেরাম।
সমাবেশে বক্তারা খুনি সাদপন্থিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করা, দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য খুনি সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা, সা’দ পন্থীদের মারকাস বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে সা’দ পন্থীদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা, ভালুকা থেকে যেসব সন্ত্রাসী টঙ্গির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা, কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গি ইজতেমা মাঠে সাদপন্থিদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, দেশ অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত সাদপন্থি গডফাদারদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং মব জাস্টিস প্রতিরোধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান।
স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় শুরু হওয়া হবিরবাড়ীর সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশে সকাল ১০টা থেকে দলে দলে মাদরাসার শিক্ষার্থী, আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জড়ো হতে শুরু করে।
একপর্যায়ে মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পূর্ণ হয়ে সামনের মহাসড়কে ছড়িয়ে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে দাবিগুলো পূরণের ব্যাপারে আশস্ত করলে সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করেন হবিরবাড়ীর সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর