
দীর্ঘ চারদিন নিখোঁজ থাকার পর ফিরে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমম্বয়ক খালেদ হাসান স্কুল জীবনেও নিখোঁজ ছিলেন। সেইবার ৬ দিন নিখোঁজ ছিলেন ছিলেন, যদি সন্তান ফিরে আসায় এই ঘটনা নিজেদের মধ্যেই রেখেছিলেন খালেদের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তার বাবা লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, যখন সে ৯ম-১০ম শ্রেণিতে পড়ত। তখন একবার সে নিখোঁজ হয়েছিল। পরে তাকে আমরা ফেরত পাই। মসজিদ-মাদ্রাসায় মানতের পরই সেইবারের বিষয়টি ওভাবেই শেষ হয়ে যায়, কেননা সন্তানকে ফিরে পেয়েছি এটাই তো অনেক। বিষয়টি আমাদের মাঝেই রেখে দিই, পরে বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। ওইবারও নিখোঁজ হওয়ার পর সেইভাবে কিছু বলতে পারেনি।
খালেদের বাবা লুৎফর আরও বলেন, এখন তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো। ডাক্তার এই কয়েকদিন তার অবস্থা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও মানসিক অবস্থা ভালো। তবে ওইদিন ম্যারাথন করায় এর আগে খাবার না খাওয়াতে এমন কিছু হতে পারে, বলে ডাক্তার জানিয়েছে। কিছু পরীক্ষাও দিয়েছে, শনিবার সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
এদিকে খালেদ হাসান বলেন, এই চারদিন আমার সঙ্গে কি হয়েছে, পুরো বিষয়টিই অনেকটাই অস্পষ্ট। পরে পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি, এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছিল।তখন ছয়দিনের মতো গুম ছিলাম, এমনটা জানার পর এখন মনে হচ্ছে আমাকে গুম করা হয়নি।
খালেদ জানায়, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম গিয়ে থাকলেও যেতে পারে তবে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাতে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছে। সবশেষে বরিশালে নিজেকে আবিষ্কার করলে সেখান থেকে একজন লোক তাকে গাড়িতে তুলে দেয়। পরে সায়দাবাদ হয়েছে হলে ফেরে।
প্রসঙ্গত, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ছেলের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় চষে বেড়াচ্ছেন বাবা। পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেলেনি খালেদের সন্ধান। খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর