
চাঁদা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ভেতর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন মো. মিঠুন মোল্লা (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী। ছিনতাই হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ টাকা। এঘটনায় মামলা হলেও একমাস পর এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার অন্যতম আসামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং অপর আসামী এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী এবং পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মো. মিঠুন মোল্লা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পালরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইট, বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গেল (নভেম্বর) মাসের ২০ তারিখ চাঁদার দাবীতে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তার প্রতিষ্ঠানে এসে চাঁদা দাবী করে এবং তিন দিন পর সেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে বলে চলে যায়। এর তিন দিন পর ২৩ নভেম্বর দুর্বৃত্তরা ১৫-২০ টি মোটর সাইকেল যোগে প্রতিষ্ঠানে আসে এবং চাঁদা দিতে বলে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ী মিঠুনকে ভয়ভীতি এবং গালাগালি করতে থাকে। ব্যবসায়ী তাদের চাঁদা দাবীতে বাঁধ সাধলে সেখানেই তাকে মো. শান্ত দা দিয়ে মাথা বরাবর কোপ ঝাড়ে এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের স্থানীয় বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের সভাপতি খাইরুল ইসলাম হিরো (২৮) মাথা বরাবর বারি মারে। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে তাদের সঙ্গে আসা দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। তখন ক্যাশবাক্সে থাকা ৬ লাখ টাকা শান্ত এবং হিরো নিয়ে নেয় এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
এঘনায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ঘটনার ৫ দিন পর মানিকগঞ্জ সদর থানায় ৬জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা এবং চুরির মামলা করেন। মামলার ঠিক একমাস অতিবাহিত হলেও এখনো গ্রেফতার করা যায়নি কাউকেই। তবে মামলার ৩,৪,৫ এবং ৬ নং আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। তবে মূল আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় পিছিয়ে পড়েছে মামলার কার্যক্রম এবং ভীতি কাজ করছে ভুক্তভোগী এবং পরিবারের মাঝে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এস.আই) মো. তানভীর হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বাকি আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।’
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর