
বগুড়ার শেরপুরে শীতকালীন সবজির দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। সবজির দাম ধারণার চেয়ে কম দাম পাওয়ায় প্রান্তিক চাষীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।
অসহায় চাষীরা লাভবান না হয়ে বড় ধরনের লোকসানের গুনতে হচ্ছে। এতে করে ফুলকপি চাষিরা অধিকাংশ ঋণগ্রস্ত হচ্ছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ফুলবাড়ি সবজির পাইকারি বাজারে ১মন ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। খুচরাবাজারে প্রতি কেজির দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা। অন্যান্য সবজির দামও নিম্নমুখী হয়েছে।
সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসলেও ক্ষতিতে পড়েছেন কৃষকরা। বেগুন ৪০/৫০ টাকা, ছিম ২০/২৫ টাকা, আলু ৫০/৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, গাজর ৪০/৫০ টাকা, টমেটো ৪০/৫০, শাক প্রতি মুঠো ৫/১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ছোট ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক শাহ আলম, রফিকুল ইসলাম বলেন ১ বিঘা জমিতে কিস্তি নিয়ে ঋণ করে ফুলকপি চাষ করেছি। শুরুতে দাম আশানুরূপ থাকায় ভালো লাভের আশ করেছিলাম। হঠাৎ করে দাম এত কম হবে আশা করিনি। এখন আমরা দিশেহারা পরে পড়েছি। আর এই ফুলকপি বেশিদিনও রাখা যায় না।
গাড়িদহ ইউনিয়নের বাংড়া, কালশিমাটি, পারভবানীপুর গ্রামের কৃষকরা জানান বর্তমানে ১টাকা কেজি দরেও ফুলকপির বিক্রি হচ্ছে।
সবকিছুর দাম বেশি যেমন সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের। এতে করে ৪০ থেকে ৫০ টাকা মনে বিক্রি করতে হচ্ছে। চাষ শেষে কয়েকমাস শেষে ঋণের বোঝা নিয়ে পরিবার নিয়ে মহাবিপাকে পড়তে হবে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, বর্তমানে শীতকাল। আর এই সময়ে বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। এর ফলে ভোক্তারা উপকৃত হলেও কৃষকেরা কম লাভবান হবেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর