
নড়াইলে রুকু শেখ হত্যা মামলায় কুদ্দুস ফকির (৫৪) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি ) নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো.শাজাহান আলী এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত কদ্দুস ফকির কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার চোরখালি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত প্রান ফকিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদির ননদ নড়াগাতি থানার চোরখালি উত্তর পাড়া গ্রামের চায়না বেগমের সাথে আনুমানিক ৩০ বছর পূর্বে দক্ষীণপাড়া গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের ইসলামি শরিয়তে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ঝগড়া ঝাটি ও চায়নাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে কুদ্দুস শেখ। এরই এক পর্যায়ে প্রায় ৩ বছর পূর্বে চায়না বেগম স্বামীর সংসার ত্যাগ করে চলে আসে। ঘটনার এক মাস পূর্ব থেকে কুদ্দুস ফকির চায়নাকে সংসারে ফেরত নিতে চায়। এরপর বিগত ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর সকালে গ্রামের রুকু শেখ গোসল করার জন্য বাড়ির পার্শ্ববর্তী নবগঙ্গা নদীর ঘাটে যাচ্ছিলেন। প্রতি মধ্যে নির্মাণাধীন নতুন ফেরি ঘাটের পূর্ব পার্শ্বে পৌঁছালে কুদ্দুস ফকির রুকু শেখকে তার স্ত্রী চায়নাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার জন্য বলে। রুকু শেখ রাজি না হওয়ায় কুদ্দুস লোহার তৈরি শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বড়দিয়া বাজার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম কুদ্দুস ফকিরকে আসামি করে নড়াগাতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রায়ের ধার্য দিনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাজাহান আলী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর