
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে কিশোরগঞ্জ। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। কুয়াশার তীব্রতা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে বাস, ট্রাকসহ যানবাহনগুলোর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন বাড়ছে কুয়াশা। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। একই সঙ্গে ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এ জনপদ। এতে রাতে কনকনে শীতে বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে চরম দুর্ভোগে পড়েন ছিন্নমূল মানুষ। কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। গরম ও মোটা কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনেকটা কষ্ট করেই ক্রয়-বিক্রয় করছেন পণ্য।
দিনের বেলা মহাসড়ক দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসচালকদের গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে। যাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সে দিকে হাইওয়ে পুলিশও রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়। দূরপাল্লার যানবাহনকে গতি নিয়ন্ত্রণ করে চলার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
ঢাকাগামী ট্রাকচালক ফারুক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পথে বেশ কিছু সময় নিরাপদ স্থানে গাড়ি থামিয়ে রেখেছিলাম। পরে ধীরে ধীরে চালিয়ে এসেছি। মহাসড়কে খুব একটা যানবাহন দেখা যাচ্ছে না।
মোটরসাইকেল চালক সালেক হোসেন রনি জানান, ঘন কুয়াশা ভেদ করে গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। আগের মতো যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
অটোরিকশা চালক তাহের আলী বলেন, সকাল থেকে তীব্র শীতের মধ্যে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। কিন্তু আমাদের তো করার কিছু নেই। জীবিকার তাগিদে বের হতেই হবে।
কটিয়াদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুল অর রশিদ বলেন, শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গতি কমিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দূরপাল্লার যানবাহনকে গতি নিয়ন্ত্রণ করে চলার পরামর্শ প্রদান করছে হাইওয়ে পুলিশ।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর