
হামলা ও ভাংচুর মামলায় গ্রেফতারকৃত দিনমজুর কাঠমিস্ত্রী নিত্য সরকারের (৪৫) জেল হাজতে মৃত্যু হয়েছে। হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন দুলালের দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় দুমাস আগে (৩০ অক্টোবর) গ্রেফতার হন তিনি। শারিরিক অসুস্থ নিত্য সরকার কারাগারে অসুস্থ্ হয়ে পরলে তাকে চিকিৎসার জন্য ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা চলাকালে গতকাল রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত কাঠমিস্ত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হারিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কালোই এলাকায় জগদীশ সরকারের ছেলে। নিত্য সরকার তিন সন্তানের জনক। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হলেও তার ছোট ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিন শতক খাস জমিতে বসবাস তার। নিহতের কাকাতো ভাই হৃদয় মণি দাস বলেন, গতকাল (৩ জানুয়ারি) রাতে আমাদের ফোন করে পুলিশ জানায় নিত্য দা আর বেঁচে নেই। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলখানা থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনলে তার স্ত্রী অলোকা রাণী তার সাথে দেখা করতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার বাদী বিএনপি নেতা দুলালা মধ্যরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মারতে-মারতে তুই আওয়ামীলীগ করস বলে পুলিশের গাড়ীতে উঠিয়ে দিয়েছে। প্রকিত পক্ষে সে একজন দিনমজুর মানুষ, কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। সারাদিন কাজ করে যে টাকা পায় তা দিয়ে চলে তার কষ্টের সংসার। তারমত মানুষ কি রাজনীতি করে। প্রতিহিংসার মাধ্যমে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তার মৃত্যুর সঠিক বিচার চাই। লাল পোষ্ট মর্টের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির সাংগঠিনির সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, ‘নিত্য সরকার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কালোই ইউনিয়নের সভাপতি। সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুনার রশীদ খান মুন্নুর বয়ড়া গ্রামের বাস ভবনে হামলা চালায় আওয়ামী দুবৃত্তরা তখন তিনিও সেই হামলা-ভাংচুরে শামিল হন। পাশাপাশি নিত্য এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ্য।’
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাহবুব কবির বলেন, চিকিৎসার জন্য ৪দিন আগে নিত্য সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অফিসিয়ালি আমাদের তার মৃত্যুর বিষয়ে জানানো হয়নি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর