
ফেনী আল জামিয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসায় বছরের শুরুতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির হিড়িক শুরু হয়েছে। কারও প্ররোচনায় বা সুপারিশে নয়, মেধার ভিত্তিতেই হবে ভর্তি।
জানুয়ারির ১ম সপ্তাহ হতে অনুষ্ঠিত মাদ্রাসায় ভর্তি কার্যক্রমে শ্রেণি প্রতি ৪০০ জন বসার সুযোগ থাকলেও ৬ষ্ঠ হতে নবম পর্যন্ত ক্লাস প্রতি আবেদন জমা হয়েছে ২০০০ অধিক। এক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক দুই ক্যাটাগরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ।
তিনি প্রতিবেদককে জানান, ফালাহিয়া মাদ্রাসা সমগ্র দেশে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি।আমরা পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে এ শ্রেষ্ঠতা অর্জন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, কমিটির সদস্যবৃন্দ তথা সকলেই শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার অনলাইনে ফরম দিয়েছি। অফলাইনে আমাদের কোন ফরম ছাড়া হচ্ছে না, হবে ও না।
বর্তমানে আমাদের ৪২২১ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। আমাদের প্রায় ৮০টি শ্রেণি কক্ষ থাকার পরও আরও ক্লাস রুমের প্রয়োজন। শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা আরও কিছু শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে পারতাম। আমাদের ১০০ জন শিক্ষক নিবেদিত প্রাণ হয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি এবং পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের কাজ করচে। এখানে পরীক্ষার ফলাফল আমরা অনলাইনে দিয়েছি। কেবল লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। চূড়ান্ত ভাবে মনোনীতরাই ভর্তির সুযোগ পাবে।
বর্তমানে ১৮০০ ছাত্রী এখানে পড়াশোনা করছে। এখানে লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের হয়ে থাকে। এখানে কমিটির সদস্যবৃন্দ কিংবা রাজনৈতিক নেতারা সুপারিশ ও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এখানে মেধাবী ছাত্ররাই উত্তীর্ণ হয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছাত্ররা যেমন পড়াশোনা করচে তেমনি শিক্ষকতার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও প্রশাসনে আমাদের প্রতিষ্ঠানের এক ঝাঁক ছাত্র রয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, ভাইস প্রিন্সিপাল, প্রভাষক পদে আমাদের ছাত্র/ছাত্রীরা কর্মরত রয়েছেন। বিসিএস ক্যাডারে সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মক্কা ইউনির্ভাসিটি, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক ও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কর্মরত আছে। অনেকেই স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপে পড়াশোনা করছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর