• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪ মিনিট পূর্বে
প্রচ্ছদ / অপরাধ / বিস্তারিত
খায়রুল আলম রফিক
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:১৭ দুপুর
bd24live style=

১১৬ ডিসি-এসপির সম্পদের খোঁজে গোয়েন্দারা 

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সরকারদলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়ার নেপথ্যের আলোচিত-সমালোচিত জেলা প্রশাসক ডিসি-পুলিশ সুপাররা আবারও আলোচনায় এসেছে। এবার তাঁদের ফাইল ধরে টান দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের কর গোয়েন্দারা। রাতের ভোটের কারিগর বলে পরিচিত এসব ডিসি-এসপির বিপুল অঙ্কের কর ফাঁকি অনুসন্ধানে সংস্থাটির আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট ব্যাপক আয়োজনে মাঠে নেমেছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনই আলোচনার কেন্দ্রে। ওই সময় তাঁরা প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট’ কামিয়েছিলেন বলেও প্রচার রয়েছে।

জানা গেছে, রাতের ভোটের সেই নির্বাচনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তৎকালীন সময়ের ৫৭ জন ডিসি ও পুলিশের ৫৮ জন পুলিশ সুপার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তারা বিভিন্ন স্থানে পদায়ন হয়েছেন। তাঁদের আয়কর নথি যাচাই করে প্রকৃত সম্পদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে দুটি সংস্থা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের বিষয়ে জনগণের একটা চাপা ক্ষোভ ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এই ক্ষোভ এখন প্রকাশ্যে। সরকারি এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক তথ্য আয়কর গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তাঁরা এখন যাচাই-বাছাই করে কর ফাঁকিসংক্রান্ত বিষয় অনুসন্ধান করবেন। কর ফাঁকি উদঘাটন হলে আয়কর আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে এনবিআর। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানাবে। আইন অনুযায়ী তখন দুদক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে একটি জরিপ করেছিল জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এন এসআই)। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের মাত্র ২২টি আসনে জয় নিশ্চিত ছিল। বাকি আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের জয়ের সম্ভাবনা দেখিয়েছিল সংস্থাটি। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও পুলিশের যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনোনীত করে পতিত সরকার। যাচাই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্যক্তি ও পরিবারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। এর আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ বেশির ভাগ নিবন্ধিত দল। ২০১৮ সালে বহুল আলোচিত সংলাপে শেখ হাসিনার কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোটে অংশ নেয়। তবে ডিসি-এসপিদের কারণে ওই ভোট বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

ভারতের এজেন্ট ময়মনসিংহে ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, নেত্রকোনার মঈনউল ইসলাম, জামালপুরে আহমেদ কবীর, শেরপুরে আনার কলি মাহবুব, সিলেটে এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জে মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মৌলভীবাজারে মো. তোফায়েল ইসলাম, হবিগঞ্জে মাহমুদুল কবীর মুরাদ, ঢাকায় আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, গাজীপুরে ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, নারায়ণগঞ্জে রাব্বী মিয়া, মুন্সীগঞ্জে সায়লা ফারজানা, কিশোরগঞ্জে মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলে মো. শহীদুল ইসলাম, নরসিংদীতে সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, মাদারীপুরে মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, শরীয়তপুরে মো. কাজী আবু তালেব, ফরিদপুরে উম্মে সালমা তানজিয়া, মানিকগঞ্জে এস এম ফেরদৌস, গোপালগঞ্জে মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, রাজবাড়ীতে মো. শওকত আলী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, রাঙামাটিতে এ কে এম মামুনুর রশিদ, বান্দরবানে মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, খাগড়াছড়িতে মো. শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজারে মো. কামাল হোসেন, লক্ষ্মীপুরে অঞ্জন চন্দ্র পাল, চাঁদপুরে মো. মাজেদুর রহমান খান, ফেনীতে মো. ওয়াহিদুজ্জামান, নোয়াখালীতে তন্ময় দাস, কুমিল্লায় মো. আবুল ফজল মীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হায়াত-উদ-দৌলা খান, রাজশাহীতে এস এম আব্দুল কাদের, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ জেড এম নুরুল হক, নওগাঁয় মো. মিজানুর রহমান, নাটোরে মো. শাহরিয়াজ, পাবনায় জসিম উদ্দিন, বগুড়ায় ফয়েজ আহমেদ, সিরাজগঞ্জে কামরুন নাহার সিদ্দীকা, জয়পুরহাটে মোহাম্মদ জাকির হোসেন, খুলনায় মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, বাগেরহাটে তপন কুমার বিশ্বাস, সাতক্ষীরায় এস এম মোস্তফা কামাল, যশোরে মো. আব্দুল আওয়াল, মাগুরায় মো. আলী আকবর, ঝিনাইদহে সরোজ কুমার নাথ, নড়াইলে আনজুমান আরা, কুষ্টিয়ায় মো. আসলাম হোসেন, মেহেরপুরে মো. আতাউল গনি, চুয়াডাঙ্গায় গোপাল চন্দ্র নাথ, বরিশালে এস এম অজিয়র রহমান, ঝালকাঠিতে মো. হামিদুল হক, পিরোজপুরে আবু আহমেদ সিদ্দিকী, পটুয়াখালীতে মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, বরগুনায় কবীর মাহমুদ, ভোলায় মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দীক ও রংপুরে এনামুল হাবীব। এরমধ্যে ভারতের এজেন্ট ময়মনসিংহে ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস শতকোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। ময়মনসিংহে তার পরিবারের নামে শত বিঘা জমি রয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এসপি জানিয়েছেন,কা লের কন্ঠ পত্রিকার সংবাদে ২০১৮ সালের পুলিশ সুপারদের তালিকায়  ভুল বশতঃ ২০২৪ সালে কর্মরত থাকা পুলিশ সুপারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা হাস্যকর। 

ঢাকা জেলার শফিউর রহমান, মুন্সীগঞ্জে মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, গাজীপুরে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, নারায়নগঞ্জে মঈনুল হক, মানিকগঞ্জে মাহফুজুর রহমান, নরসিংদীতে আমেনা বেগম, কিশোরগঞ্জে মো: আনোয়ার হোসেন খান, টাঙ্গাইলে মো: মাহবুব আলম, ফরিদপুরে মো: জামাল পাশা, গোপালগঞ্জে মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, রাজবাড়ীতে সালমা বেগম, শরীয়তপুরে সাইফুল্লাহ আল মামুন, মাদারীপুরে মো:সরোয়ার হোসেন। এছাড়া শেরপুরে মো: রফিকুল হাসান গনি, ময়মনসিংহে সৈয়দ নুরুল ইসলাম, নেত্রকোনায় জয়দেব চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো: মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামে নুরে আলম মিনা, কক্সবাজারে ড.একেএম ইকবাল হোসেন, রাঙ্গামাটি সাঈদ তারিকুল হাসান, খাগড়াছড়ি আলী আহমেদ খান, নোয়াখালী মো; ইলিয়াছ শরীফ, লক্ষীপুরে আ,স,ম, মাহাতাব উদ্দিন, ফেনিতে এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, চাঁদপুরে শামসুন্নাহার, বান্দরবানে সঞ্জিত কুমার রায়, বগুড়ায় মো: আসাদুজ্জামান, রাজশাহীতে মোাহম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইঞা, চাপাইনবাবগঞ্জে টিএম মোজাহেদুল ইসলাম, পাবনায় জিহাদুল কবির, নাটোরে বিপÐব বিজয় তালুকদার, সিরাজগঞ্জে মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, নওগাঁয় মো: ইকবাল হোসেন, জয়পুরহাটে মো: রশীদুল হাসান। রংপুরে মো: মিজানুর রহমান, দিনাজপুরে মো: হামিদুল আলম, ঠাকুরগাঁও ফারহাত আহমেদ, পঞ্চগড়ে গিয়াস উদ্দিন আহমদ, নীলফামারি মো: জাকির হোসেন খান, লালমনিরহাটে এসএম রশীদুল হক, কুড়িগ্রামে ছিলেন মো: মেহেদুল করিম। খুলনার মাগুরায় ছিলেন মুনিবুর রহমান, নড়াইলে সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনায় মো: নিজামুল হক মোল্যা, সাতক্ষীরায় মো: সাজ্জাদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গায় মো: মাহবুবুর রহমান, যশোরে মো: আনিসুর রহমান, কুষ্টিয়ায় এসএম মেহেদী হাসান, মেহেরপুরে মো: আনিছুর রহমান, ঝিনাইদহে মো: মিজানুর রহমান বাগেরহাটে পংকজ, বরিশালে মো: সাইফুল ইসলাম, পিরোজপুরে মোহাম্মদ সালাম কবির, ভোলায় মো: মোকতার হোসেন, ঝালকাঠিতে মো: জোবায়দুর রহমান, পটুয়াখালী মোহাম্মদ মঈনুল হাসান এবং বরগুনায় বিজয় বসাক। এছাড়া সিলেটে মো: মনিরুজ্জামান, মৌলভীবাজারে মো: শাহ জালাল, সুনামগঞ্জে মো: বরকতুল্লাহ খান এবং হবিগঞ্জে বিধান ত্রিপুরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com