
বগুড়ার শেরপুরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ভ্যান থেকে চাঁদা উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ কেড়ে রিকশা চালকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা উপজেলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে চাঁদা বন্ধের আশ্বাসে তারা ফিরে যান।
রিকশা চালক মজনু, আকবর, মানিকের সঙ্গে কথা হয়, তারা জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সব ধরনের চাঁদা তোলা বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৌরসভার টোলের নামে আবারও ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হয় চাঁদা। ছোট রিকশা থেকে ১০ টাকা ও বড় রিকশা থেকে ২৫ টাকা করে তোলা হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা সব ধরনের চাঁদা বন্ধের দাবি জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর তুষারসহ রিকশা চালকদের কয়েকজন প্রতিনিধি ইউএনওর সাথে কথা বলেন। তিনি আগামী বুধবার আলোচনা করার কথা জানান। সে পর্যন্ত পৌরসভার টোল আদায় বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে চালকরা চলে যান। বিক্ষুব্ধ রিকশা চালকরা বলেন, বিগত সরকারের মতো আবারও পৌরসভার টোলের নামে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। আগের মতোই জুলুম শুরু হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানভীর তুষার বলেন, আইন অনুযায়ী স্ট্যান্ড ছাড়া সড়কে টোল আদায় করা যাবে না। কিন্তু কোন স্ট্যান্ড না থাকা সত্ত্বেও পৌরসভা ইজারা দিয়েছে। এখন ইজারাদার অবৈধভাবে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা উত্তোলন করছে। আমরা এসব বন্ধের দাবি করছি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, আগামী বুধবার সকাল ১১ টায় ইজারাদার, রিকশা চালক ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হবে। সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পৌর টোল আদায় বন্ধ থাকবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর