
শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সরিষার হলুদ ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে নাগরপুরের দিগন্তজোড়া হলুদের মাঠ। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ গুলোতে ব্যাপকহারে সরিষা চাষ হয়েছে। সবুজ গাছের ফুলগুলো শীতের সোনা ঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। যেদিকে চোখ যায় সে দিকেই মনে হচ্ছে সরষে ফুলের হলুদ আচ্ছাদনে ঢেকে আছে চারদিক।
এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ সাজে। চারদিকে সরষে ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠগুলো। ফসলের মাঠ পরিবর্তনের এ হলুদ সরষে ফুলের চাদরে ঢাকা পড়েছে ফসলের মাঠ।
ঘিওরকোল মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক শওকত তালুকদার ও রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ২/৩ বিঘা করে জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করে আসছি। এবারে আবহাওয়া অনুকূলে তাই সরিষার ফলন ভালো পাওয়ার আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এবারে সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে।আমরা সরিষা আবাদ সম্পসারণে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা এবং বিভিন্ন প্রদশর্নী স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। উপজেলায় সরিষার আবাদ যাতে বেশি হয়, তার জন্য মাঠ পর্যায়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ বছর প্রায় ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকগণ সামান্য কিছু স্থানীয় জাতসহ উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছে। সরিষা নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে আবাদ শুরু করতে হয়। ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে জাত ভেদে ৮৫ থেকে ৯০ দিন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর