![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশের সারা শরীর পচন ধরে তরল নির্গত হওয়ায় আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও মুখমণ্ডলের কোন অংশ দেখেই শনাক্তের উপায় নেই।
পুলিশের রেকর্ড সার্ভার থেকেও উদ্ধারকৃত লাশটির আকার, আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য দেখে মেলানো যাচ্ছে না। মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্প এলাকার আশরাফুল মান্নানের টিনশেড ভাড়াবাড়ি থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর বিকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি যার বয়স আনুমানিক ৪৫, তার মুখে লম্বা দাড়ি। তিনি পার্শ্ববর্তী বাড়ির ভাড়াটিয়া বাদশা মিয়াকে (৬০) সাথে নিয়ে বাড়ির মালিকের সাথে ১১শ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে দক্ষিণ পাশের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। ২শ টাকা অগ্রিম দিয়ে কক্ষটিতে সঙ্গে থাকে ব্যাগ নিয়ে উঠে পড়েন।
এরপর রুম পরিষ্কার করে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেন। অপরিচিত ব্যক্তিটিকে বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়ির মালিক নাগরিক সনদপত্র চাইলে- তার সঙ্গে নেই এবং পরিবারসহ বাসায় উঠলে তখনই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেবেন বলে জানান তিনি।
পরবর্তীতে ঐদিন রাতে দশটার দিকে পুনরায় অজ্ঞাতনামা ভাড়াটিয়ার সাথে আরো দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসার কক্ষে অবস্থান করে। পরদিন সকাল থেকেই কক্ষটি তালাবদ্ধ দেখতে পায় পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়ারা।
বাসা ভাড়া নেওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আর বাসায় আসতে দেখা যায় না। এর এক সপ্তাহ পার হওয়ার পর ভিতরে থাকা অজ্ঞাত লাশটির থেকে দুর্গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পরতে থাকে। এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন দিলে ৮ দিন পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করে।
লাশটি উদ্ধার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গলিত লাশটি ছাড়া তার সাথে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়া যায়নি। লাশ গলিত হওয়ায় তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং মুখমণ্ডল দেখে শনাক্ত করার উপায় নেই। আমরা সে সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করার চেষ্টা করছি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর