গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং পরিষদ পরিচালনায় একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া চার ইউপি মেম্বার মাসিক সম্মানী না পাওয়ার অভিযোগ করলেও চেয়ারম্যান তা অস্বীকার করেছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল সরকার ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জিল্লুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেম্বার জিল্লুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন মৃত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে চারটি বয়স্ক ভাতা ও ১০টি বিধবা ভাতার রেজুলেশন করেন। তবে ২০২৪ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর শহিদুল ইসলাম শিপন অনুমোদিত ওই নামগুলো বাদ দিয়ে নিজের ওয়ার্ডের লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এ সময় রেজুলেশনে সংশ্লিষ্ট মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান তিনজন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর একজন জীবিত থাকলেও তাকে মৃত দেখিয়ে অন্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়া চেয়ারম্যান বিভিন্ন ভাতাভোগীর কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগে জড়িত ছিলেন এবং পরিষদে নিজের দালাল বাহিনী গড়ে তুলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চেয়ারম্যান শিপন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চারজন মেম্বার- জয়নাল সরকার (১নং ওয়ার্ড), জিল্লুর রহমান (৫নং ও ৭নং ওয়ার্ড) এবং শাহ মো. আব্দুর রাজ্জাক (৬নং ওয়ার্ড) তাদের মাসিক সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন না।
এই অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন মেম্বাররা।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি কেন মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করব? এমন অভিযোগ অবিশ্বাস্য।’’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বার জয়নাল সরকার, জিল্লুর রহমান ও শাহ মো. আব্দুর রাজ্জাক। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মেম্বাররা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর