বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং খাউলিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজের জন্য দুর্ভোগে রয়েছে ১৬ গ্রামের প্রায় লাখ মানুষ। স্থানীয়রা সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে কোনোমতে ব্রিজটি মেরামত করে ব্যবহার করলেও প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তাই স্থানীয় গ্রামবাসী কাঠের ব্রিজটি দ্রুত মেরামত বা নতুন করে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
বাঁশ-খুঁটি দিয়ে কোনোমতে বেঁধে রাখা হয়েছে ব্রিজের পিলার, যার একটি অংশ ভেঙে গেছে নদীতে। সেই ভাঙা অংশে বাঁশ খুঁটির জোড়াতালি দিয়ে কোনো মতে চলাচল করছে গ্রামবাসী।
খাউলিয়া গ্রামের মোশাররফ সেখ বলেন, খাউলিয়া বাজার সংলগ্ন চালিতাবুনিয়া খালের ওপর নির্মিত লোহা ও কাঠের ব্রিজটি ভেঙে গেছে প্রায় দেড় বছর আগে। প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত এই ব্রিজটি বিভিন্ন সময় সংস্কার করা হলেও নতুন করে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে প্রায় দেড় বছর আগে বন্যার পানির চাপ এবং বিভিন্ন মালবাহী ট্রলারের আঘাতে পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্রিজটির একটি অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন স্থানীয় গ্রামবাসী চলাচলের জন্য ব্রিজটির একপাশে বাঁশ-খুটি দিয়ে মেরামত করে কোনোমতে যাতায়াত করতে থাকে।
স্থানীয় শিক্ষক মো. ফকরুল ইসলাম জানান, পুলটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, প্রতিনিয়ত ছোটো-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েক মাস আগে ব্রিজ থেকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ব্রিজটির একপাশে খাউলিয়া বাজারসহ দু’পাশে রয়েছে ১৬টি গ্রাম।
প্রধান শিক্ষক মো.বাবলু হাওলাদার জানান, খালের দুই পাশ মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ছয়টি। যে কারণে স্কুল ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে ব্রিজটির ওপর দিয়ে। এমন অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি নদীর মোহনায় হওয়ার কারণে একই স্থানে নতুন করে নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে জমি অধিগ্রহণ করে নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আপাতত ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করে দেওয়া হবে, যাতে স্থানীয় গ্রামবাসী কোনো ঝুঁকি ছাড়া সহজে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে পারে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর