মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড- এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরার " তিতাস-এ" মেকানিক্যাল মেইনটেইন্যান্স বিভাগের ফোরম্যান মেকানিক হিসেবে দীর্ঘ ৩২ বছর চাকুরি করে আসছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে মোয়াজ্জেম হোসেনের চাকুরির স্থায়িত্ব নিয়ে উনার চাকুরির শেষ কর্ম দিবস ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে হলেও তিনি নিয়মিত ভাবে চাকরির করে যাচ্ছেন। এতে করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে মোয়াজ্জেম হোসেনের সহ-কর্মীদের মধ্যে।
মোয়াজ্জেম হোসেন অত্র কোম্পানিতে বিগত ০১-০১-১৯৯২ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরিতে যোগদান কালে মোয়াজ্জেম হোসেন কোম্পানিতে জমাকৃত উনার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্রে উনার জন্ম সাল ০৩-০১-১৯৬৮ ছিল। পরবর্তীতে কোম্পানি কতর্পক্ষ ঐ সময়ের কিছুসংখ্যক কর্মচারীর প্রকৃত বয়স নির্ধারণের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী বিজিএফসিএল কর্তৃপক্ষ কোম্পানির ডা. মহোদয়ের মাধ্যমে প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সে অনুযায়ী কিছু সংখ্যক কর্মচারী তাদের প্রকৃত বয়স নির্ধারণপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেনও রয়েছে।
তৎকালীন কমিটির নির্ধারণকৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের সঠিক জন্ম তারিখ ০৩-০১-১৯৬৬ নির্ধারণ হয়েছিল। যা কোম্পানি সকল শাখায় সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রকৃত জন্ম তারিখ অনুযায়ী ০২-০১-২০২৫ইং তারিখে চাকুরির শেষ কর্মদিবস হওয়ার কথা থাকলেও চাকুরি শেষ না হয়ে আরো ২ বছর চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে।
এতে করে উনার সাথে এই মেয়াদে যারা চাকুরি থেকে অবসরে চলে গেছেন তারাও আরো ২ বছর চাকুরি মেয়াদ বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি বিরাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর আবেদন জানান।
আবেদন কারী আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের ডোনার ছিলেন, সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। যেখানে মোয়াজ্জেম হোসেনের চাকুরির মেয়াদ শেষ, সেখানে উনি এখন পর্যন্ত কিভাবে চাকুরি করিতেছে এটার প্রশ্নের বিষয়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সহ মোয়াজ্জেম হোসেনের শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আমাদের চাকুরির মেয়াদ আরো ২ বৃদ্ধি করা হোক।
এই বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার চাকুরি বয়স আছে তাই আমি চাকুরি করতেছি। তাছাড়া কোম্পানি আমার চাকুরির মেয়াদ নিয়ে কোনো চিঠি দেন নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি বিরাসার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো: হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে একাধিক কল করেও প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেন নি।
উপ- মহাব্যবস্থাপক সংস্থাপন মহম্মদ শামসুল আলম বিশ্বাস মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন এর বিষয়ে কমিটি করা হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর