অনেকদিন বাদে কি...? একটি কথা লিখছি। নানা কারণে অনেকদিন লিখতে পারিনি বা লিখিনি। মাঝে মাঝেই লেখার প্রচন্ড ইচ্ছে হয়। আবার নিজেই নিজেকে সংযত করি। বলি কি দরকার। না লিখেও তো ভালোই আছি। অযথা ঝামেলা আমন্ত্রণের কি প্রয়োজন। কিন্তু বিবেক যে তাড়া করে। যদি না-ই লিখি তাহলে সাংবাদিকতায় এসেছিলাম কেন? বিলেত প্রবাসী হলে ক্ষতি কি ছিল? এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না।
একটা পুরনো লেখা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম আমি এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? আমার সাহস গেল কোথায়? চোখের সামনে অনেক কিছুই তো ঘটছে। অনেকেই বলেন- কি ভাই সেদিন তো সাহসী হয়েছিলেন। এখন তো দেখি চুপ করে বসে আছেন। বলুন তো কি জবাব দেব তাদের। জবাব যে আমার কাছে নেই। শুধু কি লেখা? বলায়ও নানা হিসাবনিকাশ। সেদিন এক আড্ডায় এক ভদ্রলোক সরাসরি বললেন, কি ভাই এখন তো ‘দুর্নীতিপরায়ণদের উল্লাসের নৃত্য’ লিখতে পারেন না। কথা গুলো একজন সাংবাদিক গুরুজনের মন্তব্য। প্রথম যখন সাংবাদিক হয়েছিলাম। ভাবতাম আমি সাংবাদিক সবার জন্য। পিছনে ছিলো না কোন তদবির। কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য বলে চিন্তা করতাম না। চিন্তা ছিলো আমি সবার কথা বলবো।অনিয়ম দূর্নীতির সাথে ছিলাম আপসহীন। সবাই আতংকে থাকতো কে সেই আজাদ। এখন আর সেই ধার নেই। রাজনৈতিক নজরবন্দী ।
পরিচিতির তদবির বানিজ্যে সংবাদ কাবু। মামলা হামলা আর পরিবেশ পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে এখন বোতল বন্ধি। সাদাকে সাদা বলা মুশকিল।সংবাদ লিখলে হয় হবেন সাহসী সাংবাদিক। আর না হয় হবেন হলুদ সাংবাদিক।তাই সাংবাদিকতার ইমেজ গেছে হারিয়ে। অতীত হয়েছে অনেক। বর্তমান নিয়ে ভাবলে লজ্জা।ভবিষ্যত নিয়ে সামনে যাওয়া কঠিন। তাই সাংবাদিকতা না করে প্রবাসী হওয়াটাই ভালো। বর্তমান সময়ের সাথে আমি। পাল্লা দিয়ে পারছিনা। আগের মতো প্রতিবাদী নিউজ করতে। নিউজ লিখলে হয় জেল না জলুম। রক্ষা নেই তোমার। বুক ফুলিয়ে সাংবাদিক বলার দিন শেষ।
তাই বলি আমি এখন আর সাংবাদিক নই। আমি হয়েছি হুকুমের দাশ। কি আর লিখবো। কি আর বলবো। মফস্বলে সব এখন বোতল বন্দী। মত প্রকাশে হয় দেশ না বিদেশ। আমি এখন লিখনিতে প্রতিবাদী নয়। সেই শক্তি হারিয়েছি। তাই সবার কাছে ক্ষমা চাই। ক্ষমা করবেন পাঠক। সাংবাদিক আর জাতীর বিবেক নয়। বিবেকের বেড়াজালে বন্ধি। সরি বলতে বাধ্য হচ্ছি। সবাই ভাল থাকুন ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ এম.এ আহমদ আজাদ, নির্বাচিত সভাপতি (২০২৪), নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর