অতিরিক্ত ফি আদায়, গ্রাহক হয়রানি-হুমকি, পণ্য দেরিতে পৌঁছানো, পণ্য খোয়া যাওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ এজেন্ট শাখার বিরুদ্ধে। প্রতিটি পার্সেল ও ডকুমেন্ট ১/২দিনের মধ্যে প্রেরিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছার কথা থাকলেও ৪/৫ দিনে গ্রাহকের পার্সেল পাচ্ছেন না। এনিয়ে গ্রাহকের সাথে নবীগঞ্জ সুন্দরবন এজেন্টের গ্রাহকের সাথে প্রায় দেন দরবার হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী এ প্রতিনিধির কাছে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। আজাদ নামের একজনের অভিযোগ, ১৩০ টাকার বুকিং পার্সেলে ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে। ৫ দিনেও তার বইয়ের পার্সেলটি হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় পৌঁছেনি। তিনি বলেন আমি কিছু জরুরি বই পাঠাই কিন্তু ৫দিনে সেখানে পৌঁছেনি। নবীগঞ্জের এজেন্ট অপু দাশ বলেন আমি বুকিং দিয়েছি না পৌঁছলে কি করবো। বেশি টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন ডেলিভারি চার্জ বাবদ বেশি নেওয়ার বিধান আছে। রাহিম নামে আরেকজন জানান, নবীগঞ্জ থেকে কিছু কাপড় পাঠিয়েছিলাম, ১৫ দিনেও চট্রগ্রামে পৌঁছে নাই। এখন সুন্দরবনের বরগুনা কর্তৃপক্ষ আমরা কোন সমাধান দেয়নি।
পার্সেল সঠিক সময়ে, অক্ষতভাবে পৌঁছানো নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। এজেন্টটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন পণ্য আনা নেওয়া করায় অনেকেই সময়মতো পার্সেল পাচ্ছে না। এদিকে এজেন্ট শাখায় কোন পার্সেল বুকিং দিতে গেলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পলিব্যাগ কিনতে বাধ্য করেন, না হয় প্যাকেট, চিঠি, পার্সেল বুকিং নেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নবীগঞ্জ এজেন্টের বিরুদ্ধে রয়েছে পণ্য খোয়া যাওয়ার অভিযোগও। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ বলেন গত ১১ জানুয়ারি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে প্রেসক্লাবের কিছু স্মরণিকা একটি পার্সেল পাঠান ঢাকার মোহাম্মদপুর শেখেরঘাট এলাকায়। এতে জরুরি বই জরুরি ছাড়া আর কিছু নেই। এই পার্সেলটি পাঠানোর ৫ দিন পর নবীগঞ্জ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন আমাকে হাতে লিখে একটি রিসিট দেওয়া হয় সেটার মধ্যে ৩শ টাকা লেখা রয়েছে। আমার মোবাইলে এসএমএস আসে ১৩০ টাকা দিয়ে বুকিং দিয়েছি। তখন এজেন্ট অপু দাশকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে এটা হবিগঞ্জ শহর থেকে বুকিং হয় ওরা ভুল করে ১৩০ টাকা লিখেছে।
এ বিষয়ে হেল্প লাইন থেকে নাম্বার নিয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ অফিসে অভিযোগ করলেও ভ্রুক্ষেপই করেননি সুন্দরবনের নবীগঞ্জ এজেন্ট শাখা কর্তৃপক্ষ। পরে হটলাইনে যোগাযোগ করলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের হেড অফিস থেকে বলা হয়, প্রমাণসহ অভিযোগ করলে গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকা অফিসের ম্যানেজার তানজিদ জানান, সুন্দরবন সব সময়ই গ্রাহকের সেবায় সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনের নিয়মবহির্ভূত ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোন কাজ করলে এজেন্ট বাতিল করা হবে।
এদিকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের নবীগঞ্জ এজেন্ট শাখার মালিক অপু দাশের সঙ্গে কথা বলতে এজেন্ট শাখায় গেলে তিনি আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি পার্সেলটি কেরানীগঞ্জ আছে। কিন্তু সেখানে যারা আছে তারা লুকোচুরি করছে, ৫দিনেও কেন পার্সেল পৌঁছেনি সেটার ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাকে হাতে লিখে একটি রিসিট দেওয়া হয় সেটার মধ্যে ৩শ টাকা লেখা রয়েছে। আমার মোবাইলে এসএমএস আসে ১৩০ টাকা দিয়ে বুকিং দিয়েছি। তখন এজেন্ট অপু দাশকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে এটা হবিগঞ্জ শহর থেকে বুকিং হয় ওরা ভুল করে ১৩০ টাকা লিখেছে মনে হয়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর