বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হন মো. মোশারফ হোসেন (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর শালীহর ছায়ানীড় আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।পুলিশের গুলিতে তার দু’পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। পরিবার ও আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আন্দোলনে সরব ছিল গার্মেন্ট কর্মী মো: মোশারফ হোসেন।
শুধু নিজে নয়; তার সঙ্গে গার্মেন্ট কর্মীদের একটি বিশাল বাহিনীও এ আন্দোলনে যোগ দেয়। চূড়ান্ত আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট ময়মনসিংহ- ঢাকা রোডের মাওহায় আন্দোলনকালে পুলিশের গুলিতে তার দু’পা ছিদ্র হয়ে গুলি বেড়িয়ে যায়। ক্ষত-বিক্ষত পা নিয়ে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৯ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. খলিলুর রহমান জানান, তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিলো। এরপরে নেওয়া হয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে।
চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো:নাহিদ ইসলাম। এছাড়াও তাকে দেখতে আসেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ও কেন্দ্রীয় সদস্য মুনতাসীর মাহমুদ।
তিনি আরও জানান, আমরা তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান আহত মো. মোশারফ হোসেনের বাবা মো. নাজিম উদ্দিন ও মাতা মোছা. নুরজাহান বেগম।
তাঁরা বলেন, ছেলের চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমার ছেলে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, দেশের সবার কাছে আমার ছেলের সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর