বরগুনায় ১৯৯৮ সালে স্থাপিত আমতলী পৌরসভা ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রায় ৭.৭৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় তেতএিশ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস।
এ পৌরসভায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬টন বর্জ্য তৈরি হয়। অথচ এই বর্জ্য অপসারণে নেই আধুনিক কোনো ব্যবস্থা। স্থায়ী কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় খোলা জায়গাসহ শহরের খাল ও নদীতে ফেলা হয় এসব বর্জ্য। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের দুর্গন্ধ এখন নিত্যসঙ্গী।
এছাড়া ময়লার ভারে খালের বেশিরভাগ স্থান দিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে খালের পানি। পৌর শহরে বাস করা অনেকেই গোসলসহ গৃহস্থালি কাজে এই দূষিত পানি ব্যবহার করছেন। এতে করে শহরবাসীর মধ্যে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু। এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা জমির অভাবে স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করতে পারছেন না। পৌর শহরের কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম,সোহেল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন খালে বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের স্ব মিল সড়ক এলাকার বাসিন্দা মো. রিয়াজ , মোঃ নাজিম বলেন,অমল পালের টলার ঘাটে আবাসিক এলাকা ও সড়কের পাশের ময়লা আবর্জনা ঘাট দিয়ে নদীতে ফেলে রাখে। ওই ময়লার দুর্গন্ধে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে এবং ঘাটে চলাচলকারীরা সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. তেংমং বলেন, বর্জ্য-আবর্জনাযুক্ত পানি ব্যবহারে মানুষের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য থেকেও একই রকম ঝুঁকি থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঈসা জানান, ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে নাগরিক সেবার পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের ময়লা-আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করতে পারে। তাদের সংগৃহীত বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মজিবুল হায়দার জানান, ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ নেয়ার চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, ডাম্পিং জোনের জন্য সরকারি জায়গা খুঁজতেছি এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। জায়গা প্রাপ্তি সাপেক্ষে ডাম্পিং জোন স্থাপন করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর