ঢাকা মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের বামনকান্দা জংশন এর নিকটে নড়াইলে এক্সপ্রেস নামের একটি পরিবহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক আরোহী নিহত হয়েছে। বাস যাত্রীদের অভিযোগ পুলিশের সিগন্যালের কারণে এই সড়ক দুর্ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় সময় ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেলওয়ে জংশনের নিকটে এক্সপ্রেসওয়েতে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঐ ব্যক্তি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার গফুর মন্ডলপাড়া এলাকার ছালাম শেখের পুত্র সুমন সেক (৩৩)।

এই ঘটনায় নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহনের এক যাত্রী দাবি করেন, এক্সপ্রেসওয়েতে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ মোটরসাইকেলটি কে সিগন্যাল দেয়। মোটরসাইকেল টি সাইড করতে গেলে পিছন থেকে আসা নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহন গতি নিয়ন্ত্রণ করে না পেরে মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে চাপা দেয়। পরে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ হাইওয়ে পুলিশের।

এ বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশের টি.এস. আশিকুজ্জামান বলেন, আমরা হাইওয়ে পুলিশ খবর পাই এক্সপ্রেসওয়ের কাছে নিকট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসে আমরা মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরবর্তীতে ঘাতক বাসটিকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যাই।

ঘাতক নড়াইল এক্সপ্রেস নামক পরিবহনটির চালক পালিয়ে গেছে। মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. পলাশ জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় সুমন শেখ নামের একজনের মরদেহ আসছিল। তার মাথা ও মুখমণ্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সড়কে পড়েছিল। তার পকেটের পরিচয়পত্র দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিবচর মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। পুলিশ যদি কাউকে সিগন্যাল দিয়ে থাকে তাহলে পিছন থেকে যে আসবে সেই গাড়িটি নিয়ম মাফিক ভাবে যাবে, কিন্তু আসলে কি ঘটেছে জানা নেই।

মুনতাসির/সাএ