ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নে `উন্নয়ন সহায়তা বরাদ্দ"প্রকল্পের ইউড্রেন নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার বরাদ্দকৃত এই প্রকল্পে ইউনিয়নের ১৩টি ইউড্রেন নির্মাণের কথা রয়েছে।সরজমিনে গিয়ে ১৩ টি ইউড্রেন'র মধ্যে ১২ টি পাওয়া গেলেও রামগোপালপুর রহমানিয়া মাদ্রাসার রাস্তার ইউড্রেন খোঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির (বাছির)জানান, “আমি লোকমুখে শুনেছিলাম আমাদের মাদ্রাসার রাস্তায় একটা ইউড্রেন বাজেট ছিল, কিন্তু ইউড্রেনটি হয়নি। আমি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম,তবে চেয়ারম্যানকে পাইনি।”
রামগোপালপুর গ্রামের স্থানীয়রা জানান, নির্মাণকৃত ইউড্রেনগুলির অধিকাংশই নিয়মবহির্ভূত ভাবে তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, গাও রামগোপালপুরের সিদ্দিক মেম্বারের বাড়ির পাশের ইউড্রেন এবং রামগোপালপুর সিদ্দিক মেম্বারের বাড়ীর পাশে মসজিদের সামনে ইউড্রেন নির্মাণে লোহার রড ছাড়াই নিচের ঢালাই করা হয়েছে। এতে করে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে প্রকল্প সভাপতি এক,দুই ও তিন নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোসা. মালা বেগমের নম্বরে একাধিক বার কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও দামগাঁও মধ্যপাড়া হোসেন সরকারের বাড়ীর পশ্চিম পাশে ইউড্রেন নির্মাণ, দামগাঁও আমিরুলের বাড়ীর পশ্চিম পাশে ইউড্রেন নির্মাণ লোহার রড ছাড়াই নিচের ঢালাই করা হয়েছে।
দামগাঁও গ্রামের আবু রায়হান জানান,"কাজটা যে নিয়মে করার কথা ছিল, সে নিয়মে করেনি। যার ফলে আমরা এখন বিপদের মধ্যে আছি। ঢালাই করেছে রড ছাড়া,বর্ষার সময় পানি নিষ্কাশন ঠিক মতো হবেনা।
এ বিষয়ে রামগোপালপুর ইউনিয়নের ২ টি প্রকল্প সভাপতি ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হোসনে- আরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, “কেউ যদি কয় ভাইস চেয়ারম্যানের এক সাথে চারটা বাচ্চা হইছে আপনি কি এটাই বিশ্বাস করবাইন?”
তিনি আরও বলেন, `আমার হেইলার (স্বামী) তদারকিতে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।' এ বিষয়ে ইউপি:চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল-আমীন জনির নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি)আব্দুল্লাহ আল-মনি বলেন, আমরা সব জায়গায় এই ভাবে যাওয়া সম্ভব হয় না আমি ২/১ টার খোঁজ খবর নিছি সব গুলাক খবর আমি বলতে পারবো না। আমরা উপর দিয়া (thicknes) সহ উপর দিয়া দৈর্ঘ্য প্রস্থ সব টিক আছে কোথাও বেশি আছে। ঢালাইয়ে রড দেওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন আমরা তো ভেঙে দেখি নাই উপর দিয়া দেখছি তবে উপরে নিচে ঢালাইয়ে রড ধরা আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাদুল হাসান জানান, “যদি আমরা অভিযোগ পাই, অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তারা দাবি করছেন, প্রকল্পের কাজের মান নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর