
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া (কাদিয়ানী) সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে বিভিন্ন দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শনিবার শহরের শেরে বাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ পঞ্চগড়ের উদ্যোগে সমাবেশে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ পঞ্চগড়ের সভাপতি ও পঞ্চগড় নূরুন আলা নূর কামিল মাদরাসার অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল হান্নান সভাপতিত্ব করেন।
এতে আন্তর্জাতিক মজলিশে তাহফুজে খতমে নবুওয়ত এর যুগ্ম মহাসচিব এনামুল হক, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা মুফতি আ.ন.ম আব্দুল করিম, মাওলানা তছলিম উদ্দিন, মহাসচিব ক্বারী মো. আব্দুল্লাহ, সহ সভাপতি আব্দুর হাই, মুফতি আব্দুল বারী, সহকারি মহাসচিব হাফেজ ফারুক হোসাইন, হাফেজ আবু শাহিন, প্রচার সচিব হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, দপ্তর সচিব নুর আলম, সমাজ কল্যাণ সচিব মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বক্তারা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ও কাফের উল্লেখ অভিযোগ করে বলেন, তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২০২৩ সালে পঞ্চগড়ে সমাবেশ করেছিল। সে সমাবেশ বন্ধ করার জন্য মুসলমানরা বিক্ষোভ করার কারণে প্রশাসন কাদিয়ানীদের পক্ষ নিয়ে মুসলমানদেন উপর একাধিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষদেরকে হয়রানি করে। সে মামলায় তাদেরকে নির্বিচারে আটক করেন। তাদের মিথ্যা মামলার কারণে আটককৃতদের পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে থাকে।
আমরা জানতে পেরেছি যে কাদিয়ানীরা এবারও তাদের সালানা জালসার সমাবেশ করার চেষ্টা করছে। আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলমানদের পরিচয় বহন করে তারা কুফরি মতবাদ প্রচার করে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করছে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, গতবারের ন্যায় এবারও যদি প্রশাসন তাদেরকে সালানা জলসা করার অনুমতি দেয়, তাহলে পঞ্চগড়ের সাধারন মানুষ ঘরে বসে থাকবে না।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর