আবহাওয়ার পালাবদলে এখন বাংলাদেশে চলছে শীতকাল। আর এই সময়ে সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। শীতের আবহাওয়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই সহজেই অসুস্থ হন অনেকেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যাভাস। হেলথলাইনের প্রতিবেদন পুষ্টিবিদরা বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সুষম খাবারের গুরুত্ব: শীতকালে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো বেশি ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, ঠান্ডা আবহাওয়ায় নাকের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, যা ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করে তোলে।
শীতের দিনে সুষম খাবারের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান যোগ করা খুবই জরুরি। বিশেষত ভিটামিন ডি, সি এবং এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। ডায়েটিশিয়ানরা পরামর্শ দেন, শীতকালে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি, প্রোবায়োটিক, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যুক্ত করতে। এই উপাদানগুলো শরীরের মাইক্রোবায়োমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মূল উৎস।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সেরা খাবার
শাকসবজি
মূল জাতীয় সবজি: গাজর, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, শালগম, রুটাবাগা।
শাক: পালংশাক, কেল, লাল বাঁধাকপি, পার্সলে।
ফলমূল ও বাদাম
সাইট্রাস ফল: কমলা, লেবু, মালটা, তেজপাতা।
বেরি জাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি।
আপেলও শীতকালের জন্য দারুণ একটি ফল।
বাদাম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
বাদাম: আমন্ড, আখরোট, এবং ফ্ল্যাক্সসিড।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: অ্যাভোকাডো এবং অলিভ অয়েল।
ফারমেন্টেড খাবার: দই, কেফির, কিমচি।
মসলা: রসুন, হলুদ, কালোজিরা।
ফ্লু হলে সহায়ক খাবার: যদি শীতে ফ্লুতে আক্রান্ত হন, তাহলে নিচের খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে:
মুরগির স্যুপ ও ব্রথ।
রসুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি (কমলা, লেবু, ব্রকলি)।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (সালমন মাছ, দুধ)।
প্রোবায়োটিকযুক্ত দই।
শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে খাদ্যতালিকা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কোনো বিকল্প নেই। সঠিক খাবার আপনাকে শুধু সুস্থ রাখবে না, বরং আপনার শরীরকে ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর