কমবেশি প্রায় সবার মাথা ব্যাথা হয়। সাধারণত আমরা ক্লান্তি, মানসিক চাপকে দায়ী করি। অনেকেই আবার খুব বেশি ফোন ব্যবহার বা স্ক্রিনিং টাইমের দোষ দেন। মাথা ব্যথা স্বাভাবিক হলেও সব মাথাব্যথা এক নয়। অনেকেই মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন আর কেউ সাইনাসে। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না মাথা ব্যথা পেছনের কারণ। মাইগ্রেন হোক বা সাইনাসের ব্যথা এই দুইয়ের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য রয়েছে। আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
মাইগ্রেন: মাইগ্রেন এক ধরনের তীব্র মাথাব্যথা, সাধারণত মাথার একপাশে হয়। এটি কয়েক ঘণ্টা ধরে থাকতে পারে। মাইগ্রেনের পাশাপাশি, অন্যান্য উপসর্গগুলিও দেখা দিতে পারে।
মাইগ্রেনের কারণ
জেনেটিক্স কারণে মাইগ্রেন হতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তন মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
টেনশন মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
বিশেষ কিছু খাবারও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
পরিবেশগত কারণে মাইগ্রেন হতে পারে।
মাইগ্রেনের লক্ষণ
মাথার একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা।
বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
আলো এবং শব্দ কানে এলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
অনেক সময় দেখতে সমস্যা হতে পারে।
সাইনাস মাথাব্যথা: নাকের কাছের হাড় ফুলে গেলে সাইনাস মাথাব্যথা হয়। এই ফোলাভাব সাধারণত ঠান্ডা, অ্যালার্জি বা সংক্রমণের কারণে আসে। সাইনাসের মাথাব্যথা সাধারণত মুখের কেন্দ্রীয় অংশে, যেমন কপাল, গাল বা চোখের চারপাশে অনুভূত হয়।
সাইনাসের মাথাব্যথার কারণ
শীতকালে এই মাথাব্যথা হতে পারে।
অ্যালার্জির কারণে এই মাথাব্যথা হতে পারে।
সংক্রমণ এই মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
নাকের অভ্যন্তরীণ গঠনে সমস্যার কারণে এই মাথাব্যথা হতে পারে।
সাইনাসের মাথাব্যথার লক্ষণ
মুখের মাঝখানে চাপ এবং ব্যথা হওয়া।
সর্দি বা নাক বন্ধ হয়ে থাকা।
জ্বর হওয়া।
ক্লান্তি অনুভব করা।
চিকিৎসকের কাছে যাবেন কখন: মাইগ্রেন হোক কিংবা সাইনাস মাথা ব্যথা সহ্য করা না গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অনেকেই সাধারণ মাথা ব্যথা ভেবে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। আর এই ভুলের কারণে অনেক সময় ভুগতে হয়। তাই যখন দেখবেন ঘন ঘন মাথা ব্যথা হচ্ছে এবং সহ্য করা যাচ্ছে না দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর