আমতলী উপজেলায় ১০টি শিশু রোগের ভ্যাকসিন দুই মাস ধরে সরবরাহ বন্ধ থাকায় ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পরেছে উপজেলার অন্তত ৪ হাজার ৮’শ ১২ শিশু পরিবার। দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশু পরিবারগুলো।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ০ (শূন্য) থেকে ১৮ মাস বয়সী ৪ হাজার ৮’শ ১২ শিশু রয়েছে। ওই শিশুদের সরকারিভাবে নিউমোনিয়া, পোলিও, হাম ও রুবেলা, যক্ষ্মা, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি ও হাম রোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়।গত দুই মাস ধরে টিটি টিকা বাদে নয় ধরনের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে ওই শিশুদের পরিবারগুলো।
পরিবারগুলো টিকা দিতে ইপিআই কেন্দ্রে গিয়ে ফিরে আসছেন।টিকা না দিতে পারায় শিশুদের শরীরে ১০টি রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।দ্রুত শিশু পরিবারগুলো ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।
শিশু ইমনের মা লিপি বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চা ভালো রাখার জন্য টিকা চাই। ইপিআই কেন্দ্রে টিকা নেই। আমি শিশু নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।
শিশু আব্দুল্লাহর মা ফারজানা আক্তার বলেন, শিশুকে টিকা দিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম কিন্তু না পেয়ে ফিরে এসেছি।এতে আমার শিশুর বিভিন্ন রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কুকুয়া ইউনিয়নের চরখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মোসা. নার্গিস আক্তার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। ফলে শিশুদের টিকা দিতে পারছি না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, টিটির ভ্যাকসিন সরবরাহ চালু আছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং বলেন, আপদত ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আশা করি এ মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের শুরুতে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর