আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম (কামাল) আকনের সরকারী জমি দখল এবং সাত পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন চা বিক্রেতা রুনু। মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ড আমুয়ার চর এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী সাত পরিবারসহ অন্তত শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের আমুয়ার চর এলাকার খাস খতিয়ানের জমিতে সাতটি হতদরিদ্র পরিবার গত ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।
গত বছর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম (কামাল) আকন প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি তার দাবী করে বালু ভরাট করে একাংশ দখলে নেয়। কিন্তু হত দরিদ্র পরিবারগুলো তার ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি। বর্তমানে ওই জমিতে থাকা সুরাত গাজী, মনির হাওলাদার, রুনা বেগম, জাহানারা বেগম, নিজাম উদ্দিন কালা, আতিফুল বেগম ও আনোয়ার মল্লিকের পরিবারকে উচ্ছেদ করতে পাঁয়তারা চালাচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
আওয়ামীলীগ নেতার এ জমি দখল ও সাত পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছে। নিজাম উদ্দিন কালার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাকির হোসেন, সুরাত গাজী, রুনা বেগম, জাহানারা বেগম ও ময়না বেগম প্রমুখ।
এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে চা বিক্রেতা রুনু বলেন,মোরা সাতটি পরিবার সরকারি জায়গায় ৩০বছর ধরে বসবাস করছি।কেউ কোনো সময় বাঁধা দেয় নাই। এহন হুনি মোগো উচ্ছেদ করবে।মোগো ঘর ভাইঙ্গা দেলে মোরা কই যামু?
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম (কামাল) আকন বলেন, আমার কবলাকৃত জমিতে বালু ভরাট করেছি। এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে তাদের নামে উচ্ছেদের মামলা দিয়েছি। আমাকে হয়রানি করতে তারা এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ তারেক হাসান বলেন, চরের জমি সাধারণত সরকারী জমি হিসেবে বিবেচিত। ওই জমি নিয়ে একজনে মামলা করেছে। এ বিষয়ে সরকার বিবাদী হয়ে আইনী লড়াই করবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর