
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাহিরে ঘোরা ফেরা করা সত্ত্বেও পুলিশের নিরবতা, পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা বজায় রাখাসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে শহরের জিরো পয়েন্ট বিশাল চত্বরে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে পুলিশের ও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেও এবং সড়কে বসে পড়ে।
এরপর বেলা ১২ টার দিকে শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সদর থানা ও পাঁচবিবি থানার ওসির রদবদলসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখানেই তারা তাদের নয় দফা দাবি পেশ করেন। পরে সেখান থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে তাদের ৯ দফা দাবী পেশ করেন।
নয় দফা দাবি গুলো হলো- জয়পুরহাটে শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি করা পুলিশের রদবদল করতে হবে, খুন ও নাশকতা মামলায় জড়িত আসামিদের মুক্তি দেওয়া বন্ধ করতে হবে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশের নীরব ভূমিকা পালন করা বন্ধ করতে হবে, ছাত্র লীগের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করা, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরেও পুলিশ নিজের অবস্থানে ফিরে না আসা, যে সকল পুলিশের হাতে আমাদের ছাত্র ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে তাদেরকে অন্য জায়গায় বদলি করা, আন্দোলনে যে সকল পুলিশ গুলি চালিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে আরো পদোন্নতি দেওয়ার প্রতিবাদ এবং জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তারা।
এসময় জয়পুরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ইয়ামুর রহমান নিবিড়, মুবাশ্বির আলী শিহাব, কে এম সাজিন, ফারজান হোসেন, মোহতাসিম মিনাল, এহছান আহম্মেদ নাহিদ, মাইনুল ইসলাম রিসালাত, সজিব, খাইরুন নাহার, ছামিতুন ইসলাম মিতু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এই সাত দিনের মধ্যে যদি তাদের দাবি-দাওয়া মানা না হয় তাহলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচিসহ ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর