জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সামনে যে নির্বাচন আসতেছে, সেটা একটা গণপরিষদ নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশকে নতুন রূপে গড়তে চেয়েছে। মানুষ একটা নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করে। সেই জায়গা থেকে সংবিধান তৈরির ম্যান্ডেন্ট গণপরিষদের থাকে। একটি গণপরিষদ নির্বাচন যাতে হয়, সেই কারণেই প্রচার–প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর নগরীর কারমাইকেল কলেজে, কাউনিয়া ও পীরগাছায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসবে। ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ২০০ থানা কমিটি করেছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৪০০ থানা কমিটি হয়ে যাবে। জাতীয় নাগরিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে কাজ করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হবে। তবে এখনো রাজনৈতিক দলের নাম ঠিক করা হয়নি। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১০০–এর বেশি নাম প্রস্তাব এসেছে। সে নামগুলো থেকে চূড়ান্ত নামকরণ করা হবে।
যারাই আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াবে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব বলেন, আগামী নির্বাচনে অনেকেই আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসবার একটা পাঁয়তারা করছে। এটা স্পষ্ট যে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় এ ধরনের কথা বলা সম্ভব। দিল্লির মদদেই হয়তো এ ধরনের কথাগুলো বলা হচ্ছে যে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যদি পতিত ফ্যাসিবাদীদের কোনো আস্তানা, রূপ বা আস্ফালন ঘটে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো তাদের বিরুদ্ধে কঠিনতম ব্যবস্থা নিতে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়ন, এম আলমগীর কবির, শেখ রেজওয়ান, এম আই সুমন, খন্দকার ময়নুল হক, রিফাত হাসান প্রমুখ।
এর আগে আখতার হোসেন কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক হাজার দুঃস্থ নারী ও পুরুষের হাতে উষ্ণতার বস্ত্র বিতরণ করেন। পরে তিনি কারমাইকেল কলেজ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর