ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোল চত্বর থেকে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে তিন দিকে বাড়তে থাকে।
সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে দুই মহাসড়কের ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় মহাসড়কে ছোট–বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় যানবাহন চলে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে। এতে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে প্রায়ই যানজট লেগে যায়।
সড়ক ও জনপথ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৪ কিলোমিটার পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ভারতকে ট্রানজিট–সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। কাজটি করছিল ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যান। এরপর ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। এক মাস আগে তারা কাজে ফিরলেও কাজ চলছে ধীরগতিতে। এর মধ্যে সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোল চত্বরের চারদিকে আছে ছোট–বড় অসংখ্য গর্ত। এ গর্তের ওপর দিয়ে যানবাহন চলে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে। এতে একদিকে ঢাকা-সিলেট ও অন্যদিকে চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোল চত্বর এলাকা অতিক্রম করতে পণ্যবাহী যানবাহনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ও সরাইল থানা-পুলিশ যানজট নিরসনে তৎপরতা চালাচ্ছে।
দীর্ঘ যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লাসহ কয়েক শ যানবাহন। পণ্যবাহী ট্রাকের চালক কাঞ্চন মিয়া প্র থম আলোকে বলেন, ঢাকা থেকে প্রতি মাসেই একাধিকবার মাল নিয়া সিলেটে যাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে এলেই যানজটে পড়তে হয়।
সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান বলেন, বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বর এলাকায় মহাসড়কে গর্তের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহন চলে ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে। কিন্তু এখানে এসে যানবাহনগুলোকে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে চলতে হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বরোড মোড়ের পূর্ব পাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের পথটি বন্ধ আছে। সেখানে একটি চক্র দোকান বসিয়েছে। আর পশ্চিম পাশে মহাসড়কের ওপর অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। তাঁদের জনবল–সংকটের কারণে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না।
বিশ্বরোড মোড় গোল চত্বরের পূর্ব পাশ খালি ও পশ্চিম পাশে অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে পারলে যানজট করে যাবে। তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর