যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে কোয়ান্টাম সায়েন্স ফেস্ট-২০২৫ এর আয়োজন করে প্রশংসায় ভাসছে যবিপ্রবির উন্নত মম শির টিম।
অভিভূত হয়েছেন সায়েন্স ফেস্টে আসা বিভিন্ন স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জুড়ে চলছে সায়েন্স ফেস্টের প্রশংসা।
উন্নত মম শিরের কোয়ান্টাম সায়েন্স ফেস্টে এসে যবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক ও যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, যবিপ্রবি উন্নত মম শির সংগঠনকে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনার জায়গা গুলো সত্যিই অসাধারণ। তারা যে বিজ্ঞানকে বিভিন্ন আঙ্গিকে ভাবছে, ভাবতে শিখছে নিঃসন্দেহে এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
যবিপ্রবি স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম বলেন, আধুনিক চিন্তা চেতনাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ছোট শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাদের চিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বুদ্ধিকে কাজে লাগাচ্ছে এটা প্রশংসনীয় এবং এই কাজে আমরা যদি তাদের উদ্বুদ্ধ করি তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। উন্নত মম শিরের এমন সুন্দর আয়োজন ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশে সকল পর্যায়ে।
উক্ত সায়েন্স ফেস্টকে একটি যুগোপযোগী আয়োজন উল্লেখ করে যবিপ্রবির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব বলেন, যবিপ্রবির 'উন্নত মম শির' সংগঠনের আয়োজনে যে বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এটা প্রতিটা বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক জরুরি।
এরকম আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার এবং এটিকে মানুষের জীবনের জন্য উপযোগী করে তোলার ধারণা লাভ করবে। শিশু-কিশোর বয়সে শিক্ষার্থীদের এমন বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনা-চিন্তা সত্যিই অতুলনীয়। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, যশোরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমি অভিভূত। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে। শিক্ষার্থীরা তাদের এই বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মসূচিতে পরিকল্পনা করা, বিজ্ঞানের প্রচার-প্রসার ও উদ্ভাবনী কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্র মাহমুদুল হাসান সায়েন্স ফেস্টে অংশগ্রহণ করে তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, এটি আমার জীবনে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ। এ ধরনের আয়োজন বারবার হোক। আমি এখানে অংশগ্রহণ করে অনেক খুশি। উন্নত মম শিরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সায়েন্স ফেস্টে শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকরা বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতো কম বয়সেই বিজ্ঞানের দিকে নিয়ে যাবে। তাদের ছোট্ট চিন্তা থেকেই একদিন দেশের জন্য বড় কিছু আবিষ্কার করবে। এ ধরনের আয়োজনগুলো রাষ্ট্র কর্তৃক করা উচিত ছিল, যা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন উন্নত মম শির। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার উচিত উন্নত মম শিরকে এ ধরনের প্রোগ্রামের সকল ধরনের সহযোগিতা করা।
ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লিখেন, এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ছড়িয়ে যাক বিজ্ঞানের চেতনা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, এগিয়ে যাক প্রিয় জন্মভূমি প্রযুক্তির স্বনির্ভরতায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠন 'উন্নত মম শির যবিপ্রবি' এর উদ্যোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে দিনব্যাপী কোয়ান্টাম সায়েন্স ফেস্ট-২০২৫' অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রজেক্ট প্রদর্শন করেন।
দিনব্যাপী এ বিজ্ঞান মেলায় যশোরের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে ৮ টি স্কুল ও মাদরাসার প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী কুইজ ও গেমস প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর