• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৫ ঘন্টা পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০৭ দুপুর
bd24live style=

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নারীদের আগাম সন্তান জন্মদানের হিড়িক

ফাইল ফটো

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার বাতিলের আদেশ জারি করার পর দেশটিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীদের আগাম সন্তান জন্মদানের হিড়িক শুরু হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার বাতিলের আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে হাসপাতালে সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে ছুটছেন ভারতীয় নারীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জন্মগত নাগরিকত্ব অধিকার বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দম্পতিদের আগাম সন্তান জন্মদানের হিড়িক চলছে। অনেকেই নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালে গিয়ে সি-সেকশন করার জন্য বুকিং নিচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বাতিল করবেন তিন। গত ২০ জানুয়ারি (সোমবার) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি, তার মধ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশও ছিল।

নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবে না। জন্ম নেওয়া শিশুর মা-বাবা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তাহলেও তাদের সন্তানও মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।

এছাড়া কেউ যদি শিক্ষার্থী ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা কিংবা পর্যটন ভিসায় সেখানে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশুও আর মার্কিন নাগরিক হবে না। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই আদেশ।

ট্রাম্পের নির্বাহী এই আদেশ কার্যকরের আগে ভারতীয় দম্পতিদের সন্তান জন্মদানের আগাম প্রবণতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির চিকিৎসক এস ডি রামার ম্যাটারনিটি ক্লিনিকে গর্ভাবস্থার ৮ ও ৯ মাসের নারীদের সি-সেকশনের জন্য অস্বাভাবিক আবেদন জমা পড়েছে। এমনকি কিছু নারী তাদের গর্ভাবস্থার পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে চিকিৎসক রামা  বলেছেন, ‘‘সাত মাসের একজন গর্ভবতী নারী তার স্বামীর সঙ্গে এসে অকালপ্রসবের জন্য আবেদন করেছেন। যদিও আগামী মার্চ মাসে ওই নারীর সন্তান প্রসবের সময় নির্ধারিত রয়েছে। এভাবে অকাল প্রসব মা ও বাচ্চার ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।’’

টেক্সাসের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস জি মুক্কালা অকাল প্রসবের ঝুঁকি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, গত দু’দিনে প্রায় ২০ জন দম্পতির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি সন্তানসম্ভবা দম্পতিদের বলার চেষ্টা করছি যে, অকাল জন্ম মা এবং শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। শিশুর অনুন্নত ফুসফুস, খাবারের সমস্যা, কম ওজন, স্নায়বিক জটিলতা এবং আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী এইচ-ওয়ানবি এবং এল-ওয়ান ভিসায় কাজ করছেন হাজার হাজার ভারতীয়। তাদের অনেকেই গ্রিন কার্ডের আবেদন করেছেন। আর এই গ্রিন কার্ডধারী অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পান। যেসব সদ্যজাতদের বাবা-মায়ের কেউই আমেরিকান নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী নন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের সন্তানরা জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হবে না।

আমেরিকায় বসবাসকারী সন্তানসম্ভবা প্রিয়া নামের এক নারী বলেন, ‘‘আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আমরা আশা করছিলাম, আমাদের সন্তান আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করবে। আমরা ছয় বছর ধরে আমাদের গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষা করছি। এখনও সেটা মেলেনি। ফলে আমাদের পরিবারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার এটাই ছিল একমাত্র উপায়। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে আমরা খুবই আতঙ্কিত।’’ 

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর গত আট বছর ধরে ক্যালিফোর্নিয়া বসবাস করছেন এক ব্যক্তি। তার স্ত্রী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার বাতিলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারির খবরে ভেঙে পড়েছে এই দম্পতি। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমরা আশ্রয় চাওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু তখন আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়েন এবং আমাদের আইনজীবী সন্তানের মাধ্যমে সরাসরি নাগরিকত্ব পাওয়ার পরামর্শ দেন। এখন আমরা সবাই মাঝ সমুদ্রে পড়ে গিয়েছি।’’

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের যে আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়েছে। এসব অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই বাইডেনের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শক্তিশালী।

দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। সেই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন ম্যাসাচুসেটসসহ আরও ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা।

এক বিবৃতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ক যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, তা অশোভন, অমার্জিত এবং পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খায় না। এই আদেশ জারির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার বড় ধরনের অপব্যবহার করেছেন এবং এজন্য আমরা তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।”

‘‘আদালতের কাছে আমাদের অনুরোধ, যত শিগগির সম্ভব—এ আদেশ আটকে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং মামলা যতদিন চলবে, ততদিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়।’’

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com