বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুইটি স্থলমাইন স্থানীয় তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণে আলী হোসেন (৩৫), আরিফ উল্লাহ (৩২) ও মো. রাসেল (২৫) আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক সময়ে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী এলাকার মো. হোসেনের ছেলে আলি হোসেন ও লেমুতলী নামক এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে আরিফ উল্লাহ। দোছড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড লেমুছড়ির বাসিন্দার মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. রাসেল (২৫) আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা সূত্রে জানায়, বিস্ফোরণে আহত তিনজনেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়েছিল। সেখানে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। সকাল ৬টা, ১০টা ও সাড়ে ১০টা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন জায়গায় মাইন বিস্ফোরণের আহত হন। আলী হোসেন আহত হন। পরে সকাল ১০টার দিকে আরেকটি মাইন বিস্ফোরণে আরিফ উল্লাহ ও সাড়ে ১০টার সময় রাসেল মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, খবর পেয়ে আহত আলী হোছেন ও আরিফ উল্লাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। মাইন বিস্ফোরণের ঘটনার পরে সীমান্তে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানান, সকাল ৬টা থেকে ৭টার দিকে একটি ও সাড়ে ১০টার দিকে একটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণ দু’জন আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তাদেরকে কক্সবাজার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ সকাল থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর