
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার চরলক্ষিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেককে ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তারই সহকর্মী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর শহরের আব্দুল মালেক প্লাজার নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক সাবেক ছাত্রদল নেতা ছিলেন তিনি বিএনপির রাজনীতিকে সর্মথন করেন। শিক্ষক আব্দুল মালেক এ ঘটনার বিচার পেয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ২৩ জানুয়ারি।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ্য করেন, পাংশা উপজেলার পাট্টা জোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম ১৩ তারিখ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে ডেকে আনেন মালেক প্লাজায় বলেন, কাব স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের ব্যাপারে জরুরি কথা আছে বলে।
আমি আব্দুল মালেক প্লাজায় পৌঁছালে তারা আমার উপর অতর্কিত হামলা করে আমার পকেটে থাকা ৫ হাজার ২শত টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে, সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুসি লাথি মারতে মারতে আমার শীতের জ্যাকেট ছিড়ে ফেলেছে তারা। মারধর করেছে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম, শাহজাহানুল হক, আমিরুল ইসলাম, কাজী সামসুল হক, রাশেদুর রহমান, জাকির হোসেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে আমার ভাইয়ের সহায়তায় সেখান থেকে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। বিগত ৫ আগস্টের পর পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটির দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা এখন আর সমিতির কোন কর্মকাণ্ডে দেখা যায় না। এখানে বিএনপি সর্মথন কারী শিক্ষকদের মধ্যেও গ্রুপিং লক্ষ করা যাচ্ছে।
যে কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন এ বিষয়টি বিএনপির সিনিয়র নেতারা মীমাংসা করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমেই বিষয়টি শুনেছি তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি, তবে শিক্ষকদের আচরণ শিক্ষক সুলভ হওয়া দরকার।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর