কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় একটি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছমুদাব্রিজ সংলগ্ন বাংলাবাজার কেজি স্কুল এলাকার বাঁকখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ ড্রেজার ও পাইপ ধ্বংস করা হয়।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শারমিন সুলতানা।
জানা গেছে, অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সদর উপজেলার বাংলাবাজার ছমুদা ব্রিজ ব্রিজের অদূরেই বাঁকখালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র। এতে হুমকির মুখে পড়ে স্কুলসহ বসতবাড়ি। প্রশাসন থেকে কয়েকবার সতর্ক করা হলেও ভ্রূক্ষেপ ছিল না তাদের। এমতাবস্থায় শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নির্দেশে অভিযান চালায় প্রশাসন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ড্রেজার মালিক সটকে পড়েন। এ সময় ১টি ড্রেজার সাবমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সদরের পিএমখালীর বাংলাবাজারের একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এতে নদীর দু’পাড় ভেঙ্গে ফসলি জমিসহ বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও একাধিক জায়গায় নদীর দু’পাড়ে বসানো ব্লক সরে যাওয়ার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে ওই স্থানে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এ সময় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ ১টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শারমিন সুলতানা বলেন, ‘এসব ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে স্কুল, ব্রিজ এবং সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদীভাঙন ও ফসলি জমির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এর আগেও বহুবার অভিযান করেছি। যদি কেউ নদীতে অবৈধ ড্রেজার চালায়, তাহলে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর