মোগল শাসনামলের স্থাপত্যশৈলী বিশ্বের অন্যতম চমৎকার এবং শৈল্পিক স্থাপত্যধারাগুলোর একটি। এই শৈলীর মাধ্যমে মোগল সম্রাটরা তাদের সাম্রাজ্যের প্রতীক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
মোগল স্থাপত্যশৈলী মূলত পারস্য, তুর্কি, আরব এবং ভারতীয় শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল। ঢাকায় মোগল স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন বহন করছে বেশ কয়েকটি মসজিদ। এর মধ্যে অন্যতম দুটি মসজিদের পরিচিতি তুলে ধরা হলো
সাত গম্বুজ মসজিদ
ঢাকার মোহাম্মদুপুরে অবস্থিত সাত গম্বুজ মসজিদ প্রায় ৩৫০ বছর ধরে মোঘল আমলের স্থাপত্যশৈলী ও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে। ১৬৮০ সালের দিকে নবাব শায়েস্তা খাঁ’র পুত্র উমিদ খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
চারটি মিনারসহ তিনটি গম্বুজের কারণে মসজিদের নাম হয়েছে 'সাতগম্বুজ মসজিদ'।
মসজিদটি ছিল নৌকার ঘাট। নানান দিক থেকে নৌকা এসে ভিড়ত সেখানে।
মসজিদের ভেতরের দিকটি দৈর্ঘ্যে ১৭ দশমিক ৬৮ এবং প্রস্থে ৮ দশমিক ২৩ মিটার। মোট চার সারিতে দাঁড়িয়ে প্রায় শ’খানেক মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা আছে। মসজিদের মূল অংশের বাইরেও নামাজের ব্যবস্থা আছে।
লালবাগ কেল্লার মসজিদ (কেল্লা মসজিদ)
রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত মোগল আমলের আরেকটি মসজিদ লালবাগ কেল্লা মসজিদ। ১৬৭৮-১৬৭৯ সালে সুবেদার মুহাম্মদ আযম শাহ মসজিদটি নির্মাণ করেন। অসাধারণ কারুকার্যখচিত এই মসজিদটি মুগ্ধ করার মতো। মসজিদটি কেল্লার উত্তর পশ্চিমাংশে অবস্থিত।
কেল্লার মূল দূর্গে ঢুকতে টিকেট লাগলেও মসজিদটি সবার জন্যই উন্মুক্ত। বিশেষ পথ তৈরি এবং লোহার সীমানা প্রাচীর দিয়ে কেল্লার মূল স্থাপনা থেকে মসজিদটিকে আলাদা রাখা হয়েছে। এলাকার মানুষ নিয়মিত এখানে নামাজ আদায় করেন।
কেল্লায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরাও এখানে নামাজ আদায় করেন। বাইরের রঙ কিছুটা চটে গেলেও ভেতরটা এখনো ঝকঝকে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর