
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়টিতে। এর প্রভাব পড়েছে নিয়মিত পাঠদানে। শিক্ষক সংকটের কারণে স্বাভাবিক পাঠদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত শিক্ষকদের।
শিক্ষকরা জোড়াতালি দিয়ে কোনো রখমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। জেলা শহরের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়টির সামনে দিয়ে জেলার বড় বড় কর্মকর্তাগন আসা যাওয়া করেন, আডেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসেনও। বিদ্যালয়টি প্রোজ্জ্বল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক সংকট কাটানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ জেলার সচেতন মহল।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৩ জন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ৪২ জন। ১১ জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। বিদ্যালয়টিতে ৫৩জনের পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে একজন যোগ দিয়েছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুটি পদই শূন্য। ফলে প্রশাসনিক কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
এছাড়াও বাংলা বিভাগের ১জন, ইংরেজি বিভাগের ১জন, গণিত বিভাগের ১জন, সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের ১জন, ব্যবসায় শিক্ষার ২জন, কৃষি শিক্ষার ১জন, ভূগোলের ১জন এবং চারুকলা বিভাগের ২জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগের মতো গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ের পদ শূন্য থাকায় ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ছে পাঠদান থেকে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
অভিভাবক দুর্গাপদ ঋষি বলেন, সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার দেশ বিদেশে সুনাম আছে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে অবিলম্বে শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে। না হলে প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে পড়বে।
অভিভাবক হোসেন আহমদ রাসেল জানিয়েছেন,গুরুত্বপূর্ন ইংরেজি, বিজ্ঞান, গণিত এর মত বিষয় গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকায় ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ছে। এভাবে জেলা শহরের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের এমন দুরবস্থা যা সবাই দেখছেন প্রতিনিয়ত কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে জোড়াতালি দিয়ে আমাদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের উপর চাপ বেড়েছে। এরপরও আমরা যারা কর্মরত আছি তারা আন্তরিকভাবে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। শিক্ষার্থীরাও এই সংকটের কারণে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেনা। আমাদের শিক্ষক সংকট দূর করা খুবই জরুরি।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ঝলক রঞ্জন তালুকদার জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সংকটের কথা আমরা বার বার অবগত করেছি। তবে এই সংকটের কারণে পাঠদানে যাতে বড় রকমের প্রভাব না পড়ে সেদিকে আমার কঠোর নজরদারি রয়েছে শিক্ষকদের। সবাই আন্তরিক পরিবেশেই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর