সিলেটে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদল নেতাসহ ৩০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের মোগলাবাজার থানায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন ‘রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ।

গতকাল রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজাহারে কোনো আসামির রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার অভিযোগে রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সালেহ আহমদ, আলাউদ্দিন ফারাবি, সানোয়ার বক্ত রাহিন, হুসাইন, কবির আহম্মদ ও সুমন মিয়া। তাঁদের মধ্যে সালেহ আহমদ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্য আসামিরাও উপজেলা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তবে সুনির্দিষ্ট করে তাঁদের নাম-পদবি জানা যায়নি।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ বলেন, এটি দলীয় কোনো বিষয় নয়। ঘটনাটির সঙ্গে অনেক দলের সদস্যই জড়িত থাকতে পারেন। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এদিকে মামলার বাদী ও রিসোর্টটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের কথায় তিনি মামলা করেছেন। মামলায় তিনি কারও নাম দিতে না চাইলেও পুলিশই কয়েকজনকে শনাক্ত করে নাম উল্লেখ করেছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় সেখান থেকে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়। পরে আট তরুণ-তরুণীকে কাজি ডেকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন তাঁরা। এ ছাড়া আট তরুণ-তরুণীকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

শাকিল/সাএ