ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ ছাড়াই সরিষার আবাদ শুরু হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছে। বিশেষ করে ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণে এটি হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ।
"বারি সরিষা-১১"এবং "বারি সরিষা-১৪"বিনা সরিষা-৯" জাতের সরিষার এই চাষে খরচ প্রায় নেই বললেই চলে, এবং মাত্র ৮০/৮৫ দিনের মধ্যে চাষীরা তাদের ঘরে ফসল তুলে নিতে পারবেন।এ বিষয়ে উপজেলার কৃষক/কিষাণী রা জানান, চাষ ছাড়াই সরিষার এই আবাদ খুবই লাভজনক হতে পারে। যেখানে অন্য ফসলের জন্য একাধিক বার সেচ ও পরিচর্যা করতে হয়, সেখানে সরিষা শুধু বপনের পর ৮০/৮৫ দিনের মধ্যে ফলন দেয় এবং তাও কম খরচে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বিপ্লবী কৃষি প্রযুক্তি যা কৃষকদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। প্রচলিত বচন "ষোল চাষে মুলা, তার অর্ধেক তুলা,তার অর্ধেক ধান,বিনা চাষে পান"এখন সরিষার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়ে উঠছে। কারণ, বিনা চাষের এই সরিষার আবাদ কৃষকদের খুবই সহায়ক হতে পারে এবং এটি দেশের ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়াও, এই পদ্ধতিতে কৃষকদের জন্য খরচ কম হওয়া, দ্রুত ফলন পাওয়া এবং পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে। কৃষকরা আরও বলছেন, এই সরিষার আবাদে লাভের পরিমাণও বেশ ভালো,যা তাদের জীবিকার মান উন্নত করতে সহায়তা করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি জানান, আমন ধান কাটার পর জমিতে 'জো'থাকা অবস্থায় শুধু সরিষা বীজ ছিটিয়ে দিলেই চলে। পরবর্তীতে সার দিলেই চলবে, এবং শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে। এবারে গৌরীপুর উপজেলায় ১২৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।বিনা মূল্যে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার সহায়তা দিয়েছি এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের কে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি কিভাবে বিনা চাষে সরিষা আবাদ করা যায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা রাখি। বিনা চাষে সরিষার আবাদ গৌরীপুর উপজেলায় এই প্রথমবার হয়েছে। কৃষকের মাঝে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এবং মনে করছি সামনের বছর বিনা চাষে সরিষার আবাদ বাড়বে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর