বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের ধুনটমোড় পৌর ট্রাক টার্মিনালকে কেন্দ্র করে শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলামকে মারধরসহ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সনি সাইবার নেটের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ সনির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আবু সাঈদ সনি ধুনটমোড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
সনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরধরেই আক্রমণাত্মক হওয়াতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধায় ধুনটমোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, পৌরসভা থেকে ট্রাক টার্মিনাল টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা নিয়েছি। ট্রাক টার্মিনালের সঙ্গেই সনির বাড়ি ও অফিস। টার্মিনালের মধ্যে তাদের জায়গা থাকার দাবি করে অফিসের কাজে ব্যবহৃত বড় মই ও ভ্যান এলোমেলো করে টার্মিনালের মধ্যে রাখে। এতে করে ট্রাক রাখতে আমাদের শ্রমিকদের সমস্যা হলে আমাকে জানায়। গত ১৮ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ভ্যান ও মইগুলো সিরিয়াল করে সাইটে রাখতে বলা হলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ জানুয়ারি রবিবার সন্ধায় সনি এসে আমাকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আমার আত্মচিৎকারে ড্রাইভার সুমন জায়দার এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে এবং আমার কাছে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত সনি সাইবার নেটের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ সনির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, "টার্মিনালে আমার কোনো জায়গা আছে, এটা দাবি করিনি। গত ৩ বছর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার অফিসে হামলা করে। গত ১৮ জানুয়ারি বাইপাস রাস্তার উপর ভ্যানসহ নেট সংযোগের যন্ত্রাংশ রাখে, অফিসে ঢুকতেই ট্রাক দিয়ে ভ্যানকে ধাক্কা দেয় এবং বিভিন্ন হুমকি দেন রফিকুল। বিষয়টি জানার পর ২৬ জানুয়ারি সন্ধায় বিষয়টি জানতে রফিকুলের কাছে গেলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এতে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।"
বগুড়া জেলা ট্রাক ট্যাং লরী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি (রেজি: রাজ-২৭৬৫) আবু রায়হান জানান, "আমার শ্রমিকের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত এর সুষ্ঠু বিচার না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।"
এ ব্যাপারে সাবেক মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা জানান, "ঘটনা শোনার পর দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে এবং অতি দ্রুত উভয়কে নিয়ে বসে মিমাংসা করা হবে।"
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, "ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে দুই পক্ষ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর