পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, সংঘাত, সহিংসতা এবং আধিপত্য বিস্তার কোনোদিন শান্তি বয়ে আনে না।
তিনি বলেন, “আপনাদের যে কোনো সমস্যা, আমরা সেটা সমঝোতার ভিত্তিতে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই।” রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি গ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকালে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের সাবেক এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে টেঁটা ও বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমগীর ওরফে আলম (২০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষটি সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে। নিহত আলমগীর ওই ইউনিয়নের দীঘলিয়াকান্দি এলাকার জহর আলীর ছেলে। আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এ ঘটনায় একজনের শরীরে পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল, যা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে। সাংবাদিকরা জানতে চান, তিনি পুলিশ সদস্য কিনা।
এই বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদীসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময় দুর্বৃত্তরা এসব জ্যাকেট এবং অস্ত্র লুট করে এখন সেগুলো খারাপ কাজে ব্যবহার করছে।”
তিনি জানান, খুব দ্রুতই এসবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ সময় নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহ, রায়পুরা থানার ওসি মো. আদিল মাহমুদ, বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ প্রায় শতাধিক পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন যাবত বাঁশগাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সমর্থকরা এলাকায় ছিলেন না। শনিবার তারা এলাকায় ঢুকতে চাইলে, বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকরা তাদের বাধা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎকরা আলম নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতরা নরসিংদী, জেলা এবং রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর