হবিগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া ২০০৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের চারজন এবং বিএনপির এক নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পূর্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বক্তব্যে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।
রেজা কিবরিয়া হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট হিসেবে যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেন, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, কিবরিয়া হত্যা মামলার বাদী ও সাবেক এমপি মো. আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মুশফিক হুসেন চৌধুরী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।
তিনি বলেন, “সালমান এফ রহমান নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে আমার বাবাকে হত্যা করিয়েছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতারা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন, এজন্য সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি।”
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে শাহ এএমএস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন এবং ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। হামলায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন এবং আরও ৭০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় দুটি মামলা হয় এবং তদন্ত শেষে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ১৫ বছরেও মামলার বিচার শেষ হয়নি। সরকারি কৌঁসুলিরা জানাচ্ছেন, সাক্ষীদের অনুপস্থিতি এবং সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানোর কারণে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা জি কে গউছ। তিনি দাবি করেন, “রেজা কিবরিয়া আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এসব কথা বলছেন।”
তবে কিবরিয়ার পরিবার ও সমর্থকরা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে আসছেন।