রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দাওয়াত পত্র সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দাওয়াত পত্রে ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা, যা এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয় বিএনপি নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কারণ দাওয়াতের তালিকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতি দেখে তারা মনে করছেন, এটি আওয়ামী লীগের পূনর্বাসন কার্যক্রম হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দাওয়াত পত্রে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আজমল আল বাহার বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদ সহ ১১ জন নেতা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, "শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরামর্শে এ চিঠি তৈরি হয়েছে। এখানে কোনো দলীয় পক্ষপাতিত্ব নেই, বরং অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।"
তবে এই দাওয়াত পত্রের প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, "এটি শুধু আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের একটি উদ্যোগ, এখানে বিএনপির লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।"
এ বিষয়ে শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন জানান, "আমি এই চিঠি তৈরি করেছি, তবে আমি এখন শালিসে আছি। পরে বিস্তারিত আলোচনা করব।"
পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, "এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, সাধারণত সকল স্কুলের দাওয়াত পত্র আমরা পাইনা।"
এ ঘটনার পর স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে, এবং এই বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এ ধরনের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব অনুষ্ঠানে যোগ্যতা ও সম্মানের চেয়ে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে কিনা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর