বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ৫২২ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের রেজিস্ট্রেশন অফিসার পদে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি উপসচিব মো মাহবুব আলম শাহ্ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইসি কর্মকর্তা জানান, বাড়ি বাড়ি ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের পর তা অনুমোদন করার জন্য দেশের সকল উপজেলা কর্মকর্তাদের রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুমোদন দেবেন।
প্রজ্ঞাপনে থেকে জানা যায়,ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ এর ধারা ৬ এবং ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ৪ অনুসারে নির্বাচন কমিশন উপজেলা/থানাসমূহের জন্য কর্মকর্তাদের রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে। এছাড়া এসব উপজেলায় সহকারী রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ছবি তোলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা। পুরো কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার লোকবল। কারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।
এদিকে ২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।
ভোটার তালিকা হালানাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে-
ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
খ) জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
গ) নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)
ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
ক) নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সাথে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে
খ) জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর