হঠাৎ করে রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি চলমান থাকায় ট্রেন যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আগের দিন টিকেট সংগ্রহ করে সকালে এসে দেখেন ট্রেন চলাচল বন্ধ, এতে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন। জরুরি প্রয়োজনে দূরপাল্লার যাত্রীরা আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা দ্রুত সমস্যা সমাধান করে জণভোগান্তি নিরসনের দাবি জানান। এদিকে সকাল থেকে কোন ট্রেন চলাচল করেনি বগুড়ার রেলপথে। যাত্রী বিকল্পভাবে তাদের গন্তব্যে যেতে মাইকিং করে জানাচ্ছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বেলা ১২টার দিকে বগুড়া রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, স্টেশন কর্তৃপক্ষ হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে ট্রেন বন্ধের বিষয়ে যাত্রীদের অবগত করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীরা এসেছেন যারা ট্রেনে করে যাতায়াত করেন। তারা অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য তবে যেহেতু চলাচল বন্ধ তাই এই খবরে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই আক্ষেপ করে জানান যে আগে থেকে যদি জানানো হতো তাহলে হয়তো বা এমন ভোগান্তিতে তারা পড়তো না বিশেষ করে দূরপাল্লার যাত্রীরা যারা বেশ কয়েকদিন আগেই টিকিট কেটেছেন এবং ট্রেনে করেই তারা যাবেন কিন্তু এসে দেখেন ট্রেন বন্ধ তার কারণে জরুরি প্রয়োজনে যাওয়া সেই মানুষগুলোর ভোগান্তি আরো বেশি।
সরকারি চাকুরিজীবী সহিদুল ইসলাম জানান, কর্মস্থলে যোগ দিতে তিনি লালমনিরহাট যাবেন, সেখানে আজ তাকে যেতেই হবে, দ্রুত ও নিরাপদে যেতে ট্রেনে টিকেট সংগ্রহ করে এসে দেখেন ট্রেন বন্ধ। তিনি এখন কীভাবে যাবেন গন্তব্যস্থলে সেই চিন্তায় রয়েছেন।
সাহিদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, তিনি সান্তাহার থেকে খুলনা যাবেন, টিকেট কেটেছেন, এসে দেখেন ট্রেন বন্ধ। এতে তার জরুরি কাজ বিঘ্নিত হলো।
পরিবার নিয়ে রংপুরে যাবেন দিনমজুর রহমত। অল্প খরচে যাওয়া যায় বলে ট্রেনে যাবেন কিন্তু এখন বিপদে পড়েছেন তিনি। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এখন। সাধারণ যাত্রীরা দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করে তাদের ভোগান্তি নিরসনে দাবি জানিয়েছেন।
বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু ‘এনসিএন’কে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে রানিং স্টাফরা তাদের কর্মবিরতি শুরু করেছে। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জেনেছি। সকাল থেকে স্টেশনে অনেক যাত্রী সাধারণ আসছেন তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ট্রেন চলাচল বন্ধ। আমরা তাদের জানিয়েছি এবং হ্যান্ড মাইক দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর