হবিগঞ্জ সদরের শতবর্ষী চন্দ্রনাথ ও টাউন মডেল স্কুলের পুকুর ভরাট করে পৌরসভার মার্কেট নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে এ আদেশ প্রতিপালন করে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের পরিচালককে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ‘মাটি ভরাট করে শতবর্ষী পুকুর দখলে পাঁয়তারা’ শিরোনামে সমকালের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে সম্প্রতি পুকুর ভরাট বন্ধে হাইকোর্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী তৌহিদুল আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
রুলে চন্দ্রনাথ ও টাউন মডেল স্কুলের পুকুরের অংশ ভরাট করে হবিগঞ্জ পৌরসভার অননুমোদিত মার্কেট নির্মাণ সংবিধান ও প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন বিধায়, তা কেন বেআইনি, আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না– তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভরাট থেকে পুকুর দুটি রক্ষা এবং ভরাটকৃত অংশ পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না– তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুকুর ভরাট করায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে হবিগঞ্জ পৌরসভার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না– তাও রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ভূমি সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পরিবেশ সচিব, শিক্ষা সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসকসহ ১৩ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর